কোহিনুর: সত্যিই কি ভারতের ছিল? ঐতিহাসিক রত্নের জটিল যাত্রা
কোহিনুর, বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত হীরা, ঐতিহাসিক দাবী ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে। এর উৎপত্তি, মালিকানা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্ন অনুত্তরিত রয়ে গেছে। ইতিহাসের অন্ধকারে কোহিনুরের উৎপত্তি: কোহিনুরের উৎপত্তি নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। কিংবদন্তি অনুসারে, এটি 1306 সালে গোলকোন্ডা খনিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর থেকে, এই হীরাটি হাত বদল করে বহু শাসকের হাত দিয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে মুঘল সম্রাট, পারস্যের শাহ, আফগান আমির এবং শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশরা। ব্রিটিশদের হাতে কোহিনুর: 1850 সালে, দ্বিতীয় শিখ যুদ্ধের পর, কোহিনুর ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়। রানী ভিক্টোরিয়া इसे अपने মুকুটে স্থাপন করেন। ভারত ও পাকিস্তানের দাবি: ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতার পর থেকে কোহিনুরের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছে। উভয় দেশই রত্নটি ফেরত চায়। কোহিনুরের অভিশাপ: কোহিনুরের সাথে একটি অভিশাপের গল্পও জড়িত। কিংবদন্তি অনুসারে, যে ব্যক্তি বা রাজ্য এই হীরার মালিকানা ধারণ করবে, তার উপর দুর্ভাগ্য নেমে আসবে। বর্তমান অবস্থা: কোহিনুর বর্তমানে লন্ডনের টাওয়ার অফ লন্ডনে প্রদর্শিত হচ্ছে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্র এটির মালিকানা ধারণ করে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: কোহিনুরের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। ভারত ও পাকিস্তানের দাবি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। কোহিনুর কেবল একটি রত্ন নয়, বরং ঔপনিবেশিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক বিতর্কের প্রতীক। এর ভবিষ্যৎ কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।