ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ন নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা সেচ দপ্তরের
ঘাটালের সাংসদ দেবের স্বপ্ন এবার হয়তো শুরু হতে চলেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, সেচ দপ্তরের কর্মী আধিকারিকরা সেই সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করছেন। গত বছর বর্ষার আগে থেকেই এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি-সহ সংশ্লিষ্ট ‘স্কিম’গুলি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। চলেছিল ডিপিআর, নকশা-ডিজাইনের কাজও। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হওয়ার কথা। সেই সময় যত এগিয়ে আসছে, তত বাড়ছে ব্যস্ততা। এখন দেখার অদূর ভবিষ্যতে বন্যাহীন ঘাটালকে আমরা দেখতে পাই কিনা! ষাটের দশকে তৎকালীন কংগ্রেস আমলে শুরু হয়েছিল এই আলোচনা। কিন্তু তারপরে বাম আমালের ৩৪ বছর ও তৃণমূল আমালের ১১/১২ বছরে এক ইঞ্চি কাজ হয় নি। নানা সময়ে এই প্রকল্প নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া হয়েছে। বহু বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টাকা বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েনও চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই প্রকল্প রাজ্যের টাকায় করার ঘোষণা করতেই যেন নতুন করে প্রাণ পেয়েছে এই প্রকল্প। আর সেই প্রকল্প শিলান্যাসের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন রাতের ঘুম উবে গিয়েছে সেচ দফতরের কর্মীদের। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে থাকা ‘স্কিম’গুলি মূলত নদী-খাল কেন্দ্রিক। খাল খনন, সংস্কার, স্লুইস গেট, পাম্প হাউস তৈরি, নদী সংস্কার-সহ অনেক কাজ নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঘাটালবাসি এবার কিছুটা আশার আলো দেখছেন।