‘মহা দশবিদ্যা’: প্রাচীন তান্ত্রিক শাস্ত্রের রহস্য উন্মোচন!
হিন্দু ধর্মের তান্ত্রিক শাস্ত্রে ‘মহা দশবিদ্যা’ নামে পরিচিত দশটি শক্তিশালী দেবীর পূজার রহস্যময় ধারণা বিদ্যমান। প্রাচীনকাল থেকেই এই দেবীদের আরাধনা করা হয়ে আসছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন:তারা:জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার দেবীনেত্রী: নেতৃত্ব ও কর্মক্ষমতার দেবীভূবনেশ্বরী: পৃথিবীর সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবীত্রিপুরা সুন্দরী: সৌন্দর্য ও আকর্ষণের দেবীমহালক্ষ্মী: সম্পদ ও ধনসম্পদের দেবীমহাকালী: শক্তি ও ধ্বংসের দেবীদুর্গা: যুদ্ধ ও বিজয়ের দেবীভগবতী: শুভকামনা ও সমৃদ্ধির দেবীভাগ্যলক্ষ্মী:ভাগ্য ও সৌভাগ্যের দেবী ছিন্নমস্তা: বলিদান ও ত্যাগের দেবীমহা দশবিদ্যার মাহাত্ম্য:’মহা দশবিদ্যা’ তান্ত্রিক সাধনার একটি উচ্চতর স্তর। এই দেবীদের আরাধনার মাধ্যমে জ্ঞান, শক্তি, সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য, বিজয়, মোক্ষ প্রাপ্তির আশা করা হয়। তান্ত্রিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ‘মহা দশবিদ্যা’ সাধনার মাধ্যমে মানুষ তার আত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে পারে।’মহা দশবিদ্যা’ সাধনার রীতিনীতি: ‘মহা দশবিদ্যা’ সাধনা একজন অভিজ্ঞ গুরুর তত্ত্বাবধানে সম্পাদন করা উচিত। এই সাধনায় কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। মন্ত্রজপ, যজ্ঞ, তপস্যা, মুদ্রা, যন্ত্র ইত্যাদির মাধ্যমে ‘মহা দশবিদ্যা’ দেবীদের আরাধনা করা হয়।’মহা দশবিদ্যা’: সতর্কতা অবলম্বন: ‘মহা দশবিদ্যা’ সাধনা অত্যন্ত শক্তিশালী, তাই অজ্ঞাতে বা ভুলভাবে সাধনা করলে বিপদ হতে পারে শুধুমাত্র যারা মানসিকভাবে শক্তিশালী ও নীতিবান তাদেরই এই সাধনা করা উচিত।’মহা দশবিদ্যা’ হিন্দু তান্ত্রিক শাস্ত্রের একটি রহস্যময় ও জটিল ধারণা। জ্ঞান, শক্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য ‘মহা দশবিদ্যা’ সাধনা করতে হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ গুরুর তত্ত্বাবধানে নিয়ম মেনে চলতে হবে।