মুখরোচক চিকেন ভর্তা: ঐতিহ্যবাহী স্বাদের এক অমলিন আবেদন
চিকেন ভর্তা, বাঙালি খাবারের অপরিহার্য অংশ, যা ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ও পুষ্টির এক অমূল্য সমন্বয়। মুরগির মাংস, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনেপাতা আর মশলার মিশেলে তৈরি এই খাবারটি যেকোনো ভাতের সাথে অসাধারণভাবে মানায়।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য:
চিকেন ভর্তার উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, মুঘল আমলে ভারতে আসা মুরগির মাংস দিয়েই এই খাবার তৈরির সূচনা হয়েছিল।
উপকরণ:
- মুরগির মাংস (হাড় ছাড়া) – ৫০০ গ্রাম
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- কাঁচা মরিচ কুচি – ৪-৫ টি
- ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
- আদা-রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
- জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
- তেল – পরিমাণমতো
প্রণালী:
১. মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে লবণ ও হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ২. একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে নিন। ৩. এতে আদা-রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। ৪. মশলা কষানো হলে মুরগির মাংস ও অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ৫. মাংস সেদ্ধ হয়ে রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ৬. ঠান্ডা মাংস হাত দিয়ে ভালো করে মাখুন অথবা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। ৭. ধনেপাতা কুচি ও অল্প তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
পরিবেশন:
গরম ভাতের সাথে চিকেন ভর্তা পরিবেশন করুন। রুটি, পরোটা, লুচি, বা নানের সাথেও খেতে পারেন।
পুষ্টিগুণ:
চিকেন ভর্তা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের একটি ভালো উৎস। মুরগির মাংস প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উপসংহার:
চিকেন ভর্তা শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, বরং পুষ্টিকরও বটে। ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি মেনে তৈরি এই খাবারটি যেকোনো ভোজনকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।