সাজা ঘোষণার জন্য কিছুটা সময় নিলেন বিচারপতি
সঞ্জয়কে যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাতে ওর শাস্তি যাবজ্জীবন অথবা ফাঁসি। কোনটা হতে চলেছে? তা নিয়ে সারা রাজ্যে আলোচনা চলেছে।
প্রবল ভিড় সরিয়ে ১২. ৩৪ এ কোনওক্রমে সঞ্জয় রায়কে কোর্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয় ।
বিচারক সঞ্জয়কে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনার অপরাদের শাস্তি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদন্ড হতে পারে। সঞ্জয় বলেন, হুজুর আগেও বলেছি, এখনও বলছি আমি কোনো অপরাধ করি নো। আমাকের পুলিশের বড়ো অফিসারেরা ফাঁসিয়েছে।
বিচারক: কিন্তু আপনাকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছি। যা প্রমাণ এসেছে। কী হয়েছে, আপনার থেকে ভাল আর কেউ জানে না। যা এসেছে এরপর আমরা আর কিছু করতে পারি না। যেটা মনে হয়েছে, সেটা সঠিক।
সঞ্জয়: আজ শুধু শাস্তি কী জানতে চাই।
বিচারক: বাড়িতে কে কে আছে?
সঞ্জয়: মা।
বিচারক: বাড়ির কেউ যোগাযোগ করেছে আপনার সঙ্গে?
সঞ্জয়: না কেউ করেনি।
বিচারক: আর কিছু জানাতে চান?
সঞ্জয়: না, আমায় দোষী করা হয়েছে স্যার।
কাঠগড়ায় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছেন সঞ্জয়।
সঞ্জয়ের আইনজীবী বলেন, সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক কিন্তু মৃত্যুদন্ড নয়। বিভিন্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড সমালোচিত হয়েছে। তাই অলটারনেটিভ শাস্তি দেওয়া হোক। তিলোত্তমার আইনজীবী বলেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। তাই সর্বোচ্চ সাজা চাই। একাধিক জায়গায় শীর্ষ আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সামান্য সময় নিয়ে বিচারপতি বলেন, ২. ৪৫ তিনি সাজা ঘোষণা করবেন।