চিকিৎসকের হাতে লাগাতার ধর্ষণ, নেতার কাছেও লাঞ্ছিত নির্যাতিতা!
ত্রিপুরা,TODAYS বাংলা : চিকিৎসকের হাতে লাগাতর ধর্ষিতা মহিলা, নেতার হাতেও লাঞ্ছিত নির্যাতিতা, উল্টো নির্যাতিতাকে পুলিশের তিরস্কার।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়,দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা শান্তির বাজার মহকুমার জোলাইবাড়ীর এক গৃহবধূ বেসরকারি একটি সংস্থার মধ্যে কাজ করার সুবাদে বাইখোড়ার হাতুরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সমীর দে- এর বাসভবনে ভাড়া থাকতো।

গৃহবধূর অভিযোগ ভাড়াটিয়া বাড়ীতে গৃহবধূর একাকৃতীত্বে হাতুড়ে চিকিৎসক সমীর দে উনাকে প্রতিনিয়ত জোরপূর্বক ধর্ষন করতো। এছারও সমীর দে রাত্রিবেলায় উনার বন্ধুদের বাড়ীতে নিয়ে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রয়াস চালিয়ে যেতো।

এই সকল অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ প্রতিবাদ করায় হাতুড়ে চিকিৎসক সমীর দে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব জোলাইবাড়ী মন্ডলের সদস্য তথা দক্ষিন জেলার কৃষান মোর্চার সদস্য নারায়ন শীলকে দলবল নিয়ে গৃহবধূকে মারার জন্য ৩ লক্ষ টাকা দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় নারায়ন শীল টাকা পেয়ে এলাকার আরো কিছু লোক প্রিয়তোষ বিশ্বাস, খোকন পাটারী, শ্যামল ভৌমিক ও প্রবীর সুরকে সঙ্গে নিয়ে গৃহবধূকে প্রকাশ্য বাইখোড়া মাছবাজারে মারধোর করে বলে অভিযোগ। গৃহবধূ এই বিষয়ে অভিযুক্ত সমীর দে- এর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ও বাকিদের নামে গৃহবধূর উপর আক্রমনের অভিযোগ এনে বাইখোড়া থানায় মামলা করতে গেলে থানার পুলিশ মামলা রাখেন নি বলে জানান। গৃহবধূর অভিযোগ, তিনি মেডিকেল করানোর জন্য জোলাইবাড়ী সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে নারায়ন শীলের দলবল ধমক দিয়ে আসে, এতে করে চিকিৎসকরা মেডিকেল করাতে রাজি হননি। পরবর্তী সময় গৃহবধূ বিলোনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিকেল করান বলে জানান। থানার দারস্ত হয়ে গৃহবধূ কোনো প্রকার ন্যায়বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের সংবাদ মাধ্যমের দারস্ত হন ।

বাইখোড়া বাজারে প্রকাশ্যে মহিলার উপর আক্রমন ও বাড়ীর মালিক সমীর দে-এর উপর ধর্ষনের অভিযোগ থাকা সত্বেও বাইখোড়া থানার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় শুববুদ্ধী সম্পন্ন লোকজনদের মধ্যে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। গৃহবধূ চাইছে এই বিষয়ে প্রশাসন যেন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করে। অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে যেন এমন না হয়। এখন দেখার বিষয় ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তে ও ঘটনার সাথে জড়িত লোকজনদের শাস্তি প্রদানে প্রশাসন কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করে। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন শাসক দল বিজেপির লোক হবার সুবাদে নারায়ন শীলের মতো লোকজনেরা পার পেয়ে যাবেনা তো???? গৃহবধূ নায্যবিচার পায় কিনা এখন এটাই দেখার বিষয়।