দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন পর্যটন কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার
TODAYS বাংলা: কলকাতার খুব কাছেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে ডায়মন্ড হারবার। হুগলি বা গঙ্গা নদী এখান থেকেই দক্ষিণে মোর নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। এই নদীর দক্ষিণ পূর্ব পাড়ে ছোট ঐতিহাসিক শহর ডায়মন্ড হারবার ধীরে ধীরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তথা শহরতলীর মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

অনেক বছর আগে এই জায়গার নাম ছিল হাজিপুর। এখানে সাধারণ মানুষ অবসর সময় কাটাতে এবং উৎসবের মরশুমে ছুটির দিনগুলিতে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এই ভিড়কে কেন্দ্র করে অনেক অস্থায়ী দোকান বসে।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পিকনিক স্পট থেকে শুরু করে নদীর পাড়ে ওদের ফেলে আসা জলের বোতল এবং কোল্ড্রিংস ও বিয়ারের ক্যান, কুরকুরে চিপস বিস্কুটের প্যাকেট, থার্মোকলের থালা বাটি এবং প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ পুরসভার তত্ত্বাবধানে এখানে পচনশীল এবং অপচনশীল ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তা সত্ত্বেও সেগুলো ভরে ওঠে না। নদীতে জোয়ারের সময় এই দ্রব্যগুলো জলে ভেসে যায়। এর ফলে জলজ প্রাণীকুলের প্রভূত ক্ষতি হয় এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে নদীর কন্ঠ রোধ হতে থাকলে, নদী সর্বগ্রাসী হয়ে উঠবে। নদীকে তার আপন বেগে বইতে দাও।

অক্টোবর মাসে ৩০ তারিখে প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, আজ নভেম্বরের ২০ তারিখে দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি আবার শুরু হলো। এই দিন সুন্দরবনের পরিবেশ সৈনিক নামে পরিচিত শুভ্রদীপ বৈদ্য – র নেতৃত্বে নদীর পাড়ে আসা সাধারণ মানুষদের মধ্যে নদী দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়।

সাথে নদীর পারে পড়ে থাকা পচনশীল অপচনশীল নোংরা আবর্জনা গুলি পরিষ্কার করা হয়।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজে বেশ কিছু সচেতন পরিবেশ প্রেমী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শুভ্রদীপ বৈদ্য বলেন, আগামী দিনে এই ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকবে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে আরো বেশি করে করা যায় কিনা তার ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে । নদী বাঁচলে ,তবেই বাঁচবে প্রাণিকুল।
নদী দূষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধরনের সচেতনতা মূলক কর্মসূচি সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের বিশেষভাবে প্রশংসা লাভ করে ।
