নারায়ণের দশম অবতার কল্কি : কিংবদন্তি না বাস্তবতা?
কল্কি – হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার। কলিযুগের শেষে অধর্ম ও অনাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তিনি শ্বেত অশ্বে চড়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন বলে বিশ্বাস করা হয়।কল্কি পুরাণ:কল্কি অবতার সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় কল্কি পুরাণ গ্রন্থে। এই গ্রন্থ অনুসারে, কল্কি জন্মগ্রহণ করবেন শম্ভল নামক স্থানে, বিষ্ণুযশা নামে এক ব্রাহ্মণের পুত্র হিসেবে। তিনি শুভদ্রা নামক এক রাজকন্যাকে বিয়ে করবেন এবং তাদের পুত্রের নাম হবে দেবদত্ত।কল্কির যুদ্ধ:কল্কি যখন যুবক হবেন, তখন পৃথিবীতে অধর্ম ও অনাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। তখন তিনি শঙ্খ ও চক্র হাতে নিয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবেন। এই যুদ্ধে কলি, দ্বাপর, ত্রেতা ও সত্য যুগের সকল যোদ্ধা কল্কির সাহায্য করবেন।কল্কির বিজয়:দীর্ঘ যুদ্ধের পর কল্কি অসুরদের পরাজিত করবেন এবং পৃথিবীতে ধর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণ-র মতো 12,000 বছর রাজত্ব করবেন।কল্কির আগমন:কল্কি অবতার সম্পর্কে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। কিছু গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, তিনি কলিযুগের শেষে আবির্ভূত হবেন, আবার কিছু গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, যখন পৃথিবীতে অধর্ম ও অনাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখনই তিনি আসবেন।কল্কি কি কেবলই কিংবদন্তি?কল্কি অবতার সম্পর্কে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, এটি কেবলই একটি ধর্মীয় কিংবদন্তি। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, এতে ঐতিহাসিক সত্যের আংশও থাকতে পারে।কল্কি অবতার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস। ধর্ম ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে তিনি অনুপ্রেরণা জোগান।