April 21, 2025 | Monday | 9:18 AM

ফুটপাত বাসীদের পাশে দাঁড়াল “চকঠাকুরাণী মানুষ মানুষের জন্য”

0

অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া : রাতের পর রাত, দিনের পর দিন কনকনে ঠান্ডায় কাটানো ছোট ছোট শিশুরা,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বয়স্ক মানুষগুলোর কাছে শীতকাল যেন এক অভিশাপ। গৃহহীন মানুষগুলোর একটাই চাহিদা থাকে একটা গরম কাপড় উষ্ণ আশ্রয়।কারণ তাদের কাছে এই ঠান্ডা মানে অনেক যন্ত্রনার।রাতে শিশুদের ফুটপাতে ঘুমানো যেমন অসুবিধার, তেমনি অসুবিধা ফুটপাতো স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডা মেঝে। সারারাত না ঘুমিয়ে কোন রকম ভাবে ফুটপাতের ধারে শুয়ে থাকা বাবা-মা বোঝে তাদের কষ্টটা। কিন্তু নিরুপায়। তাদের কেউ নেই। তাদের দিকে তাকাবার, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা একটু হলেও লাঘব করার কেউ নেই। ফুটপাত দিয়ে অনেক উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তই যায়। তাদের দেখে , কিন্তু পাশে কেউই দাঁড়ায় না। তাদের দিকে কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না।সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের আনন্দ, বিলাসিতার সেরা সময় শীতকাল। চড়ুইভাতি,ভ্রমণ,নানা আনন্দের মধ্য দিয়েই শীতকালটা মানুষ উপভোগ করেন। কিন্তু সমাজের এক শ্রেণীর মানুষদের কপালে চিন্তার ভাঁজ,হাড়হিম করা ঠান্ডায় তাদের কাটাতে হয় ফুটপাতে।এই সমস্ত অসহায় মানুষদের কথা ভেবে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর থানার চকঠাকুরাণী গ্ৰামের “চকঠাকুরাণী মানুষ মানুষের জন্য” সংস্থা এগিয়ে এলো।এই সংস্থার সদস্য-সদস্যারা শীতের রাতে সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বর, আশপাশের ফুটপাত চত্বর, হাওড়া ময়দান চত্বর ও হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাতে থাকা অসহায় দিন দুঃখিনী বসবাসকারী মানুষের পাশে এসে দাঁড়াল। একশো টির ও বেশি কম্বলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জামা-কাপড় তুলে দিয়েছে এই সংস্থার সদস্য-সদস্যারা। এই মহতী সামাজিক কর্মযজ্ঞে সামিল ছিলেন সংস্থার সহঃ সম্পাদক সত্যজিৎ ইরানী। সদস্য সৌমদীপ,সৌরভ, অর্জুন, প্রদীপ।সদস্যা প্রিয়া, পূর্ণিমা,গৌরী মন্ডল প্রমূখ।

সংস্থার পক্ষে ঐশ্বিকা হালদার বলেন,”১৪১ কোটির দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। আমাদের দেশে প্রতিদিন কত মিটিং-মিছিল,কত অনশন হয়-গ্যাসের দাম বাড়ার জন্য, পেট্রোলের দাম বাড়ার জন্য, বাসের ভাড়া বাড়ার জন্য। স্মার্টফোনে চোখ রাখি শেয়ার মার্কেটের দর কতটা বাড়লো -কতটা কমলো। এই অসহায় মানুষ গুলোর না মিছিল আছে-না অনশন আছে-না কোন চাহিদা।

এই কনকনে ঠান্ডায় চাহিদা থাকে নিশ্চিন্ত ঘুমের। এই হাড়হিম করা ঠান্ডায় আমরা যখন নিশ্চিন্ত ঘুমে মগ্ন হই–তখন পুরো শহর জুড়ে কত অসহায় মানুষ কনকনে ঠান্ডায় ছটপট করে। এই মানুষ গুলোর কথা ,”ভেবে”চকঠাকুরাণী মানুষ মানুষের জন্য” সংস্থার পক্ষ থেকে কম্বল, জামা-কাপড় বিতরণের আয়োজন করা।”তিনি আরও বলেন,” আমরা হয়তো সব মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে পারিনি। কিন্তু আশা করি আগামী দিনে আরও আরও অনেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *