ফেসবুক প্রোটেক্ট অ্যাকটিভ না করলে লক হতে পারে অ্যাকাউন্ট
TODAYS বাংলা : ডেডলাইন ছিল ১৭ মার্চ। তার মধ্যেই সেরে ফেলতে হত জরুরি কাজটি। এর মাঝে অনেক ইউজারই অভিযোগ করছেন যে, তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয়েছে।

কারণ, তাঁরা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন -সহ ফেসবুক প্রোটেক্ট অ্যাক্টিভেট করেননি। “আপনার অ্যাকাউন্ট আনলক করতে ফেসবুক প্রোটেক্ট অন করে নিন”, ফেসবুকের প্রায় সমস্ত ইউজারই এই মর্মে নোটিফিকেশন পেয়েছেন।
এখন যাঁদের অ্যাকাউন্ট লক করা হচ্ছে, তাঁদের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ফেসবুকের তরফে বলা হচ্ছে, “১৭ মার্চ, ২০২২ আপনার অ্যাকাউন্ট লক করা হয়েছে। আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে আমার এই সতর্কতা নিয়েছি, যেখানে আপনি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে পারবেন।” তাই আপনি যদি ফেসবুক প্রোটেক্ট অ্যাক্টিভেট না করেন, তাহলে তা এখনই করে নিন।

মেটা-র তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ফেসবুক প্রোটেক্ট হল একটি সিকিওরিটি প্রোগ্রাম। বিভিন্ন গ্রুপ ও মানুষজন যেমন, মানবাধিকার কর্মীরা, সাংবাদিকরা, সরকারি কর্মচারীরা, যাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে থাকে ম্যালিশিয়াস হ্যাকাররা, মূলত তাঁদের জন্যই এই সিকিওরিটি প্রোগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে। পাবলিক ডিবেটের জন্য এই ধরনের মানুষজন সব সময়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তাঁরা একদিকে যেমন সরকারের নির্বাচন প্রক্রিয়ার দেখভাল করেন, তেমনই আবার মানুষের অধিকারও রক্ষা করেন, তাই তাঁরা সর্বদাই হ্যাকারদের সফ্ট টার্গেট হয়ে থাকেন। সেই কারণেই তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই নিয়ে আসা হয়েছে এই ফেসবুক প্রোটেক্ট।

মেটা দাবি করছে, ফেসবুক প্রোটেক্ট টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে ইউজারের অ্যাকাউন্টের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করে। পাশাপাশি সম্ভাব্য হ্যাকিং থেকেও রক্ষা করতে পারে ইউজারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। মেটা আরও জানিয়েছে যে, বিশেষ করে থার্ড পার্টি অথেন্টিকেশন অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করা যায়।

অ্যাকটিভ করার কৌশল——
১) প্রথমেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলুন।
২) ফেসবুক পেজের ঠিক ডান দিকে দেখতে পাবেন একটি ড্রপ ডাউন অ্যারো। সেখানে ক্লিক করুন।
৩) সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন ও তারপরে ফের একবার সেটিংসে ক্লিক করুন।
৪) এবার ফেসবুক প্রোটেক্ট অপশনটি আপনার নজরে আসবে। গেট স্টার্টেড অপশনে ক্লিক করুন।
৫) একটি ওয়েলকাম স্ক্রিন দেখতে পাবেন, সেখানে গিয়ে নেক্সট অপশনে ক্লিক করুন।
৬) ফেসবুক প্রোটেক্ট বেনিফিটস স্ক্রিনেই দেখতে পাবেন আর একটি নেক্সট অপশন। সেখানে ক্লিক করুন।
৭) এমতাবস্থায়, আপনার অ্যাকাউন্টে যদি কোনও গলদ থেকে থাকে, তাহলে তা স্ক্যান করবে ফেসবুক। যদি কোনও দুর্বলতা ধরা পড়ে, তাহলে তা ফিক্স করার জন্য ফেসবুক প্রোটেক্ট টার্ন অন করে কিছু সাজেশন দেবে ফেসবুক। হতে পারে আপনাকে আরও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বাছতে বলা হল বা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করতে বলা হল।
৮) ফিক্স নাও অপশনে যদি ক্লিক করেন তাহলে স্ক্রিনে দেওয়া ফেসবুকের নির্দেশাবলী অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন এবং ফেসবুক প্রোটেক্ট অন করার কাজটি সম্পন্ন করুন।
ফেসবুক প্রোটেক্ট কিন্তু সীমিত সংখ্যক অ্যাকাউন্টের জন্য উপলব্ধ নয়। সমস্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারেন এই বিশেষ সুরক্ষা স্তর।