মিড ডে মিল বিলি নিয়ে অনিয়ম, কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা।
মিড ডে মিল বিলি নিয়ে অনিয়ম
মালদা
মিড-ডে-মিল বিরুদ্ধে অনিয়ম, সামগ্রি কম দেওয়া হচ্ছে পচা আলু পোকা ধরা ডাল বিলি করা হচ্ছে ছাত্রদের মধ্যে এই অভিযোগ তুলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার অভিভাবকরা।শুধু স্কুলে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ঘটছে ব্যাপক অনিয়ম । টাকার বিনিময় বাইরের বিবাহিত মেয়েদেরকেও কন্যাশ্রী টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। আবার বিদ্যালয় প্রকৃত ছাত্রীদের কন্যাশ্রী টাকা দিতে টাকা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে হেডমাস্টার থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের কিছু অশিক্ষক কর্মী ও জড়িত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আজ সিনিয়র মাদ্রাসায় মিড ডে মিলের সামগ্রির বিলির দিন ছিল। এদিন সকালে মিড-ডে-মিল সামগ্রী নিতে এসে অভিভাবকরা দেখেন মিড ডে মিলে বরাদ্দ হওয়া চাল ডাল আলু চিনি সাবান পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে সঙ্গে পোকা ধরা ডাল, পচা আলু দেওয়া হচ্ছে। চাল ওজনে কম। এই নিয়ে তারা হেডমাস্টারকে অভিযোগ জানাতে গেলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এরপরই অভিভাবকরা ওই সামগ্রী নিতে অস্বীকার করে এবং স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের আরও অভিযোগ এই বিদ্যালয় বেশি বেশি ছাত্রভর্তি দেখানো হয়েছে খাতায়-কলমে। কিন্তু আদৌ অত ছাত্র এই বিদ্যালয় নেই। তার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভরত অভিভাবকরা আরো অভিযোগ করেন বিদ্যালয় কন্যাশ্রী বিলিবন্টন চূড়ান্ত অনিয়ম চলছে। কন্যাশ্রী পেতে গেলে যথারীতি কাটমানি দিতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এর সঙ্গে তারা অভিযোগ করেছেন এব্যাপারে হেডমাস্টারের সঙ্গে কয়েকজন অশিক্ষক কর্মীও জড়িত আছে। তাছাড়া বিদ্যালয় বহির্ভূত বিবাহিত সন্তানের মা দের কেও কন্যাশ্রীর টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার অভিভাবকরাই । এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে সোমবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকদের বচসা বাঁধে। স্কুলের বেনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিভাবকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক এনামুল হক। স্থানীয় অভিভাবকদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড়োসড়ো আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন অভিভাবকরা।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি জানান যদিও এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি তবু বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
Please follow TODAYS BANGLA on YouTube