বিদেশেও শ্রীল প্রভুপাদের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের তোড়জোড়
TODAYS বাংলা,সৌরভ দত্ত: গৌড়ীয় মিশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ শ্রীল ভক্তি-সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে তো বটেই, বিদেশেও বিভিন্ন ধরনের শতাধিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার উত্তর কলকাতার গৌড়ীয় মিশনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মিশনের সহকারি সচিব হৃষীকেশ মহারাজ বলেন, বিশ্বের ৯টি দেশ এবং ভারতের ১৯টি শহরে শ্রীল প্রভুপাদের বাণী পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য।

তিনি জানান, “এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরীতে ৩ বছর ধরে নেওয়া কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগস্ট/সেপ্টেম্বরে আমেরিকা, ব্রিটেন (লন্ডন), জার্মানি এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। ২০২৫-এর ফেব্রুয়ারিতে এক মেগা ইভেন্টের মাধ্যমে কলকাতায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।”

তিনি বলেন, “৩ বছর ধরে চারটি ভিন্ন বিভাগে নানা ধরনের অনুষ্ঠান থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক কার্যক্রম, জাতীয় শ্রদ্ধার্ঘ্য, সামাজিক সমীক্ষা, প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি (সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, অসমীয়া, ফরাসি এবং ইংরেজি)।

সাংবাদিক বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন গৌড়ীয় মিশনের প্রেসিডেন্ট শ্রীমদ ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী গোস্বামী মহারাজ। তিনি বলেন, “ভারতীয় দর্শন বিশ্বের দরবারে যাঁরা পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রীল প্রভুপাদ।

তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ধর্মকে ইউরোপীয় দেশগুলিতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। গোটা বিশ্বে ৬৪টি গণিত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।”
সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ফ্লোরিডার ইনস্টিটিউট অফ বৈষ্ণব স্টাডিজ-এর ডিরেক্টর বিশিষ্ট গবেষক কৃষ্ণ অভিষেক ঘোষ।

১৮৭৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পুরীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীল প্রভুপাদ। এবং ১৯৩৭-এ কলকাতার বাগবাজারে তিনি দেবত্বলাভ করেছিলেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। গৌড়ীয় মিশনের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি একে বৈষ্ণবদের একটি সাংগঠনিক রূপ দিয়েছিলেন।