চোখের জলে বসিরহাটের শেষ বিদায় মনিপুরে ভূমিধ্বসে শহীদ সেখ মহিউদ্দিনকে
জুলফিকার মোল্যা, TODAYS বাংলা:
স্ত্রীর সাথে কথা হয়েছিল ঈদের আগে বাড়ি ফিরবে, ঈদের আগে বাড়ি ফিরলো কিন্তু পিঠে ব্যাগ নিয়ে নয় কফিন বন্দি হয়ে বাড়ি ফিরলো জওয়ান মহিউদ্দিন আহমেদের নিথর দেহ। মনিপুরে ভূমিধ্বসে শহীদ জওয়ানের দেহ ফিরল গ্রামে৷ বুধবার মাঝরাতে মণিপুরের টুপুলে ভয়াবহ ধস নেমে বাংলার একাধিক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে নিহত মহিউদ্দিন শেখের মরদেহ রবিবার পৌঁছায় গ্রামে৷ রবিবার দুপুর ১টায় সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে মণিপুর থেকে মহিউদ্দিন শেখের মরদেহ নামে কলকাতা বিমানবন্দরে৷

তারপর সেনাবাহিনীর গাড়িতে কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় বসিরহাটের ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ায়৷ সকাল থেকে মহিউদ্দিনের মরদেহ গ্রামে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন গ্রামবাসীরা ৷ তাই গাড়ি গ্রামে ঢোকার পর তেরঙ্গা হাতে পিছন পিছন হাঁটতে থাকেন হাজার হাজার গ্রামবাসী৷

রাস্তার দু’পাশে উৎসুক মানুষের ভিড় চোখে পড়ে৷ গ্রামের ছেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মহিউদ্দিনের বাড়ির সামনে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা৷ এরপর আজ ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন করা হয় শহীদ মহিউদ্দিন এর মরদেহ ।।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের অগস্টে মহিউদ্দিনের বদলি হয়েছিল মণিপুরের নালে জেলায়৷ তিনি ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের গোর্খা রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন৷ মহিউদ্দিনের মতো তাঁর ছোট ভাই মিরাজুদ্দিনও সেনাবাহিনীকে কর্মরত৷ পরিবার জানিয়েছে, ইদের ছুটিতে দুই ভাইয়ের বাড়ি আসার কথা ছিল৷ কিন্তু মিয়াজুদ্দিন ছুটি পেলেও মহিউদ্দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়নি৷ তাঁকে মণিপুরের তুপুর স্টেশনে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ ২৯ জুন রাতে সেখানেই ধস নামে৷ নিখোঁজ হন বহু সেনা৷