ভবানীপুর হত্যাকাণ্ড কি হোমিসাইড কেসের সাথে যুক্ত? নতুন রসায়ন জানা গেল!
অর্পিতা মাইতিঃ ভবানীপুর হত্যাকাণ্ড নিল নয়া মোড়। শান্তিলাল বৈদ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য 25 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার সত্বেও খুন হতে হয়েছে তাকে। মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও ফেরত পায়নি স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যকে তার পরিবারের লোকেরা। উল্টে সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের পাশে একটি গেষ্টহাউসে ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ উদ্ধার করল শান্তিলালের মৃতদেহ। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ দেখেন দেহটি একেবারে বিব্রস্ত অবস্থায় ছিল। গলায় ফোনের তার জড়ানো ছিল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট উঠে আসে কালশিটে আসল কারণ শান্তি নম্বর রোডের বাসিন্দা ছিলেন পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায় রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি এরপর বিশাল শর্মার সঙ্গে বাড়ির কাছের একটি গেষ্ট হাউজ গেস্ট হাউজ থেকে সেই ব্যক্তিটির নাম পাওয়া গিয়েছে। জানা যায় বিশাল শর্মা দিল্লির বাসিন্দা তিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে গেস্ট হাউসে check-in করেছেন এবং শান্তিলাল এর সাথে তার সম্পর্ক ছিল কাকা ভাইপোর সঠিক তথ্য না জানা গেলেও জানা গিয়েছে শান্তিলাল কে কাকা বলে ডাকত বিশাল শর্মা। রবিবার ৪০ মিনিট নাগাদ বিশালের সঙ্গে পান খেতে যান নিচের একটি দোকানে এই তথ্য গেস্টহাউসের কর্মীরাই দিয়েছেন।
আনুমানিকভাবে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ শান্তিলাল বৈদ্যবাড়ী ল্যান্ডলাইন ফোন আসে মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবার পুলিশকে ঠিক এমনটাই জানান। তার ভাইপো বিবেক কুমার সেই ফোন ধরেছিলেন দীর্ঘ ২১ মিনিট ধরে শান্তিলাল এর সাথে বিবেক কুমার এর কথা হয়েছে। সোমবার রাতে পুলিশকে তার পরিবার জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর জন্য এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আত্মীয়ের সঙ্গে কোনো মতানৈক্য ছিল? কিংবা বিশাল শর্মার সঙ্গে কি তার কোন ঘনিষ্ঠতা ছিল?
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে নিজে গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁকে জোর করে গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া কোনও প্রমাণ মেলেনি। কেন স্বেচ্ছায় ওই যুবকের সঙ্গে এলগিন রোডের গেস্ট হাউসে গেলেন শান্তিলাল বৈদ? তবে কি সেই যুবক ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচিত? এমনকি ব্যবসায়ীর কল লগ থেকেও মিলেছে সেই যুবকের ফোন নম্বার।তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। মঙ্গলবার সকালে এলগিন রোডের ওই গেস্ট হাউজ়ে ঢুকে দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। বিছানার চাদর টান টান করে পাতা ছিল। কম্বল খোলা ছিল। পাশের টেবিলে ছিল খাওয়ার প্লেট। আধ খাওয়া খাবার ছিল তাতে। মিলেছে সিগারেট প্যাকেটও। তাই যুবক যে ব্যবসায়ীর পরিচিত, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। পুলিশ মনে করছে, দুটি কারণ থাকতে পারে। ব্যবসায়ীক কোনও শত্রুতা থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনও ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্কের টানাপোড়েনও থাকতে পারে।আপাতত ব্যবসায়ী খুনে এখন জটাজাল। কোথায় লুকিয়ে রহস্য? তদন্তে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। গেস্ট হাউজ়ের চতুর্দিকে এখন কড়া নিরাপত্তা। প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এত প্রাক মুহূর্তে এ সব কিছুই বলা যাবে না। কজ় অফ ডেথটা আগে জানতে হবে। এটা ম্যাজিস্ট্রিয়াল পর্যায়ের একটা ইনভেস্টিগেশন। তারপর ভিডিয়ো ফটোগ্রাফি হবে।