ফণীমনসার উপকারিতা
অর্পিতা মাইতি
TODAYS বাংলাঃ হাড়ের ক্ষেত্রে উপকারি
ফণীমনসা গাছ হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। এতে ক্যালসিয়াম ছাড়াও আরও অনেক উপকারি পদার্থও থাকে। এই সমস্ত পদার্থ হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুনরায় সারিয়ে তুলতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের জন্য উপকারি
ফণীমনসার গাছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিকেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে। এই বিশেষ বিষয়গুলি বয়স্ক মানুষের কাছে খুব উপকারি, এটি বয়স্ক মানুষের কাছে রক্ষাকবচ। এছাড়া মানুষের ত্বকে সেলুলার এফেক্ট থেকে যায় যা কিনা আপনার ত্বককে খারাপ করে দেয়, ফণীমনসার রস সেই খারাপ ত্বকের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে।
ফোলাভাব কমায়
ফণীমনসা-এর পাতা থেকে নির্গত রস শরীরের ফোলাভাব কমানোর একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, আপনার গাঁটের ফোলা, জয়েন্ট পেইন, মাংসপেশী ফোলা কমিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। এই গাছের রস আপনার ফোলা জায়গায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ব্যথার উপশম হয়ে থাকে এবং ফোলাভাবও কমে যায়।
পরিপাকক্রিয়াতে সহায়ক
ফণীমনসায় প্রচুর পরিমাণে তন্তু থাকে যা কিনা মানুষের পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। আমরা জানি যে আমাদের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে তন্তু জাতীয় খাদ্য রাখা উচিত, আর যেহেতু ফণীমনসাতে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ তন্তু থাকে তাই এই উদ্ভিদ খাদ্যপরিপাকে খুব সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে
এই ফণীমনসাতে ক্ষুধা বাড়ানোর হর্মোন থাকে। যেহেতু ফণীমনসায় ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারেই থাকে না এবং ভিতামিন বি-৬, থায়ামিন, রাইবোফ্লবিন-এর উপ্সথিতি খাদ্যপরিপাকের কাজে সাহায্য করে, অর্থাৎ ফণীমনসার, দেহের বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মধুমেহ রোগের নিবারণ করে
ফণীমনসার পর্ণকান্ডের থেকে উৎপন্ন রস মানব শরীরে স্থিত গ্লুকোজ ভেঙ্গে ফেলার ক্ষমতা রাখে,তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা খুবই লাভদায়ক, এই রস গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমিয়ে দেয়, ফলে মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।ত্বক ও চুলের মহৌষধ
আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রীর অন্যতম কাঁচামাল এই অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। ত্বক ও চুলের জন্য এটা দারুণ উপকারী। এটা ত্বকের নানা ক্ষত সারিয়ে তুলতে কার্যকরী। রোদে পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া ও পোকার কামড়ের মতো বাহ্যিক সমস্যাগুলো সারিয়ে তুলতে পারে সহায়ক এটা। এমন বাহ্যিক ক্ষতে ঘৃতকুমারীর রস মাখলেও ব্যথার উপশম হবে, কেননা বেদনানাশক হিসেবেও এটা অতুলনীয়। চুল পরিষ্কার করতে, চুলে পুষ্টি জোগাতে এবং চুল ঝলমলে উজ্জ্বল রাখতে ঘৃতকুমারীর রসের জুড়ি নেই।