হিট স্ট্রোকের কারন এবং প্রতিকারের উপায়
TODAYS বাংলা : গরম মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, গরমের সময় মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সতর্ক হয়ে না চললে যেকোনো সময়ই আপনি অসুস্থ হতে পারেন। গরমে সাধারণত যেসব স্বাস্থ্য হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রায় শোনা যায়। তাই আজ জেনে কীভাবে গরমে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
• হিট স্ট্রোক
প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতায় যে কারও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে হিট স্ট্রোক নামক জটিলতা হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা যখন ১০৪ ফারেনহাইট ক্রস করে, তখনই হিট স্ট্রোক হতে পারে। হিট স্ট্রোক এক প্রকার মেডিকেল ইমার্জেন্সি, যেখানে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়া হলে রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে। এর লক্ষণ হলো ঘাম না বের হওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, শুষ্ক হওয়া, হঠাৎ মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, অস্থিরতা, নিশ্বাস নিতে সমস্যা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা। ছোট বাচ্চা, বয়স্ক লোক, ব্যায়ামবীর বা দিনমজুরদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। শিশু ও বৃদ্ধদের তাপনিয়ন্ত্রণক্ষমতা কম থাকায় হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রায়ই অন্যান্য রোগে ভুগে থাকেন কিংবা নানা ওষুধ সেবন করেন, যা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

• হিট স্ট্রোকে প্রাথমিক চিকিৎসা
আক্রান্ত লোকটিকে ছায়াযুক্ত একটি জায়গায় নিয়ে আসতে হবে, ভারী কাপড় খুলে দিয়ে গায়ে ঠান্ডা জল ঢালতে হবে। তাকে সম্ভব হলে ফ্যানের নিচে বা এসি রুমে নিয়ে গেলে ভালো হবে । এতে গায়ের ঘাম উড়ে যাবে। সম্ভব হলে তার বগল ও রানের খাঁজে বরফ দিতে হবে।
যদি আক্রান্ত লোকটি জল পানের মতো অবস্থায় থাকে, তাহলে তাকে ঠান্ডা জল বা পানীয় পান করতে দিন। থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে আসা না পর্যন্ত ঠান্ডা করা চালিয়ে যেতে হবে।
• হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ
গরমের সময় শরীরকে জলশূন্য হতে না দেওয়া। শরীরে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ জল , জল , মুখে খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে।
বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারী কায়িক পরিশ্রম না করা।
গরমে বাইরে বের হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরে বাইরে বের হওয়া।
ঘামের সঙ্গে শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়া।