দাম্পত্যকলহের জেরে স্ত্রীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী
TODAYS বাংলাঃ খুন করার আগে বধূকে খুনিরা ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। মৃত ফতেমার বাড়ি বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া জয়ন্তীপুর গ্রামে। ৩ মার্চ সকালে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বাবার ফাঁসির দাবি করেছে ছেলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২ মার্চ রাতে নিখোঁজ হয়ে যান ফতেমা। ৩ মার্চ সকালে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে স্বামীর দিকে সন্দেহ হয় পুলিশের। ফতেমার স্বামী সামিউলকে আটক করেন আধিকারিকরা। জেরায় সামিউল স্বীকার করে স্ত্রীকে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে খুন করেছে সে-ই।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ১৮ বছর আগে গোপালনগরের বাসিন্দা ফতেমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সামিউলের। বিয়ের পর থেকেই লেগে ছিল দাম্পত্যকলহ। একে অপরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করতেন দম্পতি। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলের বয়স ১৫ ও মেয়ের ১৩।
ছেলে জানিয়েছে, মা যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিল তখনই বাবাকে পুলিশে অভিযোগ করতে বলেছিলাম। কিন্তু বাবা শোনেননি। পরদিন মায়ের দেহ উদ্ধারের পরেও পুলিশে অভিযোগ জানাতে চাননি। তখনই সন্দেহ হয়েছিল। তদন্তে গোটা ঘটনা সামনে আসার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে