রেশন না পাওয়ায় আন্দোলন বাসিন্দাদের
নুর আইন,মালদা;১১ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘদিন ধরেই রেশনে পর্যাপ্ত সামগ্রী মিলছে না। পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকটা সামগ্রী। পাশাপাশি রেশন দোকান থেকে গ্রাহকদের স্লিপ বিলি করা হলেও গ্রাহকদের মাল তুলতে যেতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরে রেশন ডিলারের বাড়িতে। আর এই বাড়িতেই মাল আনতে গেলে প্রতিটি গ্রাহককে ন্যায্য পাওনা পরিবর্তে মাল কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটছে হুমকি। স্থানীয় ব্লক খাদ্য দপ্তর কে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাই এই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে এবার বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রামে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রামের রেশন ডিলার জহুর আহমেদ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার গ্রাহকদের রেশনের সামগ্রী ওজনে কম দিচ্ছেন। পাড়ায় পাড়ায় গ্রাহকদের রেশন পৌঁছে দিচ্ছেন না। উল্টে গ্রাহকদের তার রেশনের দোকান থেকে স্লিপ নিতে হচ্ছে কিন্তু রেশন সামগ্রী নিতে যেতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরে ওই রেশন ডিলারের বাড়িতে। আর সেখানেই চলছে কারচুপি। প্রত্যেক গ্রাহকদের তাদের সামগ্রী কম করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটছে হুমকি।ঘটনার কথা এলাকার ব্লক খাদ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য প্রতিনিধিকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তাই তারা বাধ্য হয়ে এ দিন ওই রেশন ডিলার কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন এই দুর্নীতি পরায়ন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না করলে এলাকার বাসিন্দারা আন্দোলনে সামিল হবে। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রামে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেশন ডিলার জহুর আহমেদের ছেলে জাহিরুল ইসলাম। আর এই ঘটনাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগারওয়াল। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসের মহেন্দ্রপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শোভান। বিজেপি ও কংগ্রেসের মিলিত দাবি রাজ্যজুড়ে তৃণমূল প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছে। এই দুর্নীতি পরায়ন রেশন ডিলারের পেছনে তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় রেশন সব ভাওতাবাজি, সাধারণ মানুষদের বোকা বানানোর জন্যই এগুলো প্রকল্প। সাধারণ মানুষদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা রেশন ডিলার। আমরা চাইব প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। অন্যদিকে এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন জানান বিষয়টি শুনেছি, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছি। এলাকার গ্রাহকদের কাছে যাতে পাড়ায় পাড়ায় রেশন পৌঁছে যায় সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেশন সামগ্রী পান সেদিকে নজর রাখছি। বিধানসভা ভোটে বিজেপি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে, পায়ের নিচে মাটি নেই, আস্তে আস্তে বিজেপি শেষ শেষ হয়ে যাবে। গোটা ঘটনায় শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়েছে।
চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন গোটা ঘটনা শুনেছি, খাদ্য দফতর আধিকারিক ও বিডিও কে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।