প্রতিবন্ধী বাবার হাতে নৃশংসভাবে অত্যাচারিত হল মেয়ে
TODAY’S বাংলা: মধ্য প্রদেশের এমন এক ঘটনার সম্মুখীন হবেন যাতে আপনারা সকলেই চমকে উঠবেন! এক প্রতিবন্ধী বাবার নিজের মেয়ের সঙ্গে করা নৃশংসতা রীতিমতো নজির তৈরি করেছে। নিজের ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে হত্যা করে তাঁর মৃতদেহকে ধর্ষণ করেছেন ওই ব্যক্তি। মধ্য প্রদেশের গুনা জেলার এক গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। পুলিশ ৪০ বছর বয়সী অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। গুনা জেলা পুলিশের সুপার রাজীব কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি গুনা জেলার বজরংগড় থানা এলাকায় থাকেন। মঙ্গলবার থানাতে মেয়ের নিখোঁজ জানিয়ে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির থেকে অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেছিল পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশিদের থেকে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটিকে মঙ্গলবার বিকেলে শেষবার তাঁর বাবার সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া এই তথ্যই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এরপরই ওই ব্যক্তিকে জেরা করা শুরু করে পুলিশ। জেরার প্রাথমিকভাবে পুলিশের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও শেষমেশ ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি এবং স্বীকার করেন যে ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি তাঁর মেয়েকে ডামডলি জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছেন কিশোরী জঙ্গলে গিয়ে বাবার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে পরিবারের সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছিল। ছোট মেয়েটি বুঝতে পারেনি তাঁকে প্রাণ দিয়ে বাবার লালসার শিকার হতে হবে। কিশোরীকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে তাঁর মৃতদেহকে লাগাতার ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গলে পুলিশের একটি দল গিয়ে কিশোরীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল নমুনাও সংগ্রহ করেছে।
