বাঁশদ্রোণিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক মহিলার
TODAYS বাংলাঃ বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ঝড় বৃষ্টির পর্ব এবং এরই মাঝে হালকা হালকা ঝরো হাওয়া থেকে শুরু করে বজ্রাঘাত হয়েছে, প্রত্যেকেই বেশ অবাক হয়ে রয়েছে যে একে জমকালো শিত তার ওপর বৃষ্টি হয়ে তার মাত্রা বাড়িয়ে দিল দ্বিগুন। এর পাশাপাশি শুরু হয়ে গেছে বসন্তের হাওয়া বয়া সমস্ত কিছু মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর আবহাওয়া হয়ে উঠেছে, এবং এরই মাঝে ঘটে গেল এক দুর্ঘটনা দক্ষিন কোলকাতার বাসিন্দা মিনতি পাল। গত সোমবার দুপুরে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই আচমকা বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টিতে বজ্রপাতে নিহত হন। ঘটনাস্থলের সামনের বাড়ির এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে,” ঘরের জানলা বন্ধ করতে গিয়ে এক মহিলাকে চোখের সামনেই বজ্রাহত হয়ে পুড়ে যেতে দেখি আমি।
জীবনে এর আগে কখনও এমনটা আমি দেখিনি এবং দেখব বলে আশাও করিনি। চোখের সামনে এমন বীভত্স মৃত্যুর দৃশ্য দেখা আতঙ্কজনক।” পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে মৃত মহিলার পরিবারে তাঁর স্বামী ও ছোট এক ছেলে রয়েছে। তারা কুঁদঘাট অঞ্চলের বাসিন্দা। স্বামী পেশায় ভ্যান চালক। মিনতি দেবী বাঁশদ্রোণী এলাকাতেই পরিচারিকার কাজ করতেন বেশ কয়েকটি বাড়িতে। স্বামী অসিত পাল বলেন, “রোজকার মতো সকালে কাজে বেড়িয়ে যায় মিনতি। আমিও এই অঞ্চলেই ভ্যান চালাই। দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে বেড়ায়। আজকে ছেলেটার জন্মদিন। তাই মাংস খেতে চেয়েছিল। কথা ছিল মিনতি কাজ থেকে ফেরার পথে মাংস কিনে নিয়ে যাবে। ছেলেটা আমার ছোট এখন কি বলব ওকে বাড়ি গিয়ে…………বলতে বলতে চোখে জল এসে যায় তার। মানুষের জীবনের মূল্য অধিক হলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ভাগ্যের পরিহাসের ঊর্ধ্বে হয়তো কিছুই নয়।