গর্ভাবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ কি সম্ভব ?
TODAYS বাংলাঃ গর্ভাবস্থায় কোন মেয়ে যদি শ্বশুরবাড়িতে না থেকে তার নিজের বাবা-মায়ের কাছে থাকেন তাহলে তা কখনই বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। এমনটাই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই কারণকে হাতিয়ার করে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছেন এক ব্যক্তি।
সুপ্রিমকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কখনই কোনো স্বামী এই বিষয়ে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা বলে দাবি করতে পারেন না। যদি সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্ত্রী বেশি কয়েকটি দিন তার বাবা-মায়ের সাথে কাটান সেক্ষেত্রেও তা অন্যায় হবে না।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ এমনটাই রায় দিয়েছেন।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারীর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন এবং তিনি সে সময় তার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। এই ঘটনা একেবারেই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয় আবেদনকারীর স্ত্রীও জানিয়েছেন যে তার গর্ভবস্থায় নানান জটিলতা থাকার কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বহু কষ্টে। তাই তিনি সন্তান জন্মাবার পড়েও বেশ কিছুদিন তার বাবা-মায়ের কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই কারণকে হাতিয়ার বানিয়ে কীভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা যায়? এই বিষয়টি নিয়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন। উপরন্তু ওই মহিলার স্বামী একবারের জন্যও স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা ভাবেননি এবং উপলব্ধি করেননি তিনি সদ্য বাবা হয়েছেন।
এর মধ্যেই আবার ওই মহিলার বাবা মারা যান। তাই ওই পরিস্থিতিতে শ্বশুর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। কারোর জীবনে ঘটা পর পর এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় জড়ানো যায় ! এটা ভেবেই অবাক হয়েছেন অনেকে। যদিও এই বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । তবে এক্ষেত্রে রয়েছে অন্য কারণ। এই দম্পতি প্রায় ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে আলাদা বসবাস করছেন এবং এদের দুজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বিবাহ করে নতুন করে সংসার করতে শুরু করেছেন। তাই এই সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে বলে বিবেচনা করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদে। পাশাপাশি আদালতের রায় অনুযায়ী, ওই ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।