এই ৫টি ভুল করলে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, জানুন কি কি
TODAYS বাংলা, শ্রেয়া দাস: আজ থেকে এই কাজটি ছেড়ে দিন কোনো কাজ বা দৌড়াদৌড়ি করার সময় হাত, পায়ে বা শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করলে তা দুর্বল হাড়ের লক্ষণ হতে পারে। দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে, জয়েন্টের ব্যথা সম্পর্কিত সমস্যা আজকাল মানুষের মধ্যে বাড়ছে। আগে বিশ্বাস করা হতো যে শুধুমাত্র ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষেরই হাড়ের সমস্যা হয়, কিন্তু এখন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের বাড়িতেই এই সমস্যা চলছে। এমতাবস্থায়, আপনার যদি এমন সমস্যা না হয়, তাহলে আজই আপনাকে সেই ৫টি ভুল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে, যেগুলো আপনি প্রতিদিনের অজান্তে বা অজান্তেই এই রোগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আসুন জেনে নিই সেই ৫টি ভুল কী এবং কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারি। আপনি যদি ধূমপান করেন বা অ্যালকোহল পান করেন তবে আপনার অবিলম্বে এই দুটি খাওয়া বন্ধ করা উচিত। আসলে এই দুটি জিনিসই সরাসরি আপনার হাড়কে দুর্বল করতে কাজ করে। এটি শুধুমাত্র শরীরের ফুসফুস এবং কিডনিকে প্রভাবিত করে না, তবে আপনার হাড়গুলিও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ভাঙতে শুরু করে। অতএব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে নিজেকে দূরে রাখা ভাল।

পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক শারীরিক পরিশ্রম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি ৭-৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুম না করে, আপনি যদি সারাক্ষণ মোবাইলে থাকেন বা বিছানায় শুয়ে থাকেন, তবে আপনার হাড় দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে, সঠিক ঘুম এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম শক্তিশালী হাড়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা না করলে হাড় ভাঙ্গা (Weak Bones) থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। অনেকে নাইট শিফটে কাজ করেন এবং দিনে ঘুমান। এমন পরিস্থিতিতে তারা সূর্যের পর্যাপ্ত রশ্মি পায় না। এই রশ্মিগুলো ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে। শরীরে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম বজায় রাখার কারণে হাড় মজবুত থাকে এবং জয়েন্টে ব্যথা হয় না।

এমন পরিস্থিতিতে, যদি সম্ভব হয়, নাইট শিফট শেষে, খোলা রোদে কোথাও আধঘণ্টা হাঁটুন, যাতে আপনার হাড় ফিট থাকে। শরীরের হাড় দুর্বল হওয়ার একটি বড় কারণ হল দুধ-ডিম এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত অন্যান্য পুষ্টিকর জিনিস না খাওয়া। বিশেষ করে যদি আপনি দুধ পান না করেন, তাহলে আপনার আগের তুলনায় দুর্বল হাড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সেজন্য আমাদের সবার বাড়িতেই দিনে অন্তত একবার দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার এই পরামর্শটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় এবং নিয়মিত দুধ খাওয়া উচিত। খাবারে লবণ না থাকলে তার স্বাদ অকেজো হয়ে যায়, কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় এই লবণ খাওয়া শুরু করলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আসলে, বেশি লবণ দিয়ে খাবার খেলে হাড়ের হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। লবণে সোডিয়াম নামক উপাদান থাকে, যা শরীরে ক্যালসিয়াম কমায়। এমন পরিস্থিতিতে যত বেশি লবণ খাবেন, ততই শরীরে ক্যালসিয়াম কমে যাবে। তাই সীমিত পরিমাণে লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।