বুধবার বিকালে দিল্লি থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামলেন দুর্গাপুরের তিন কন্যা
TODAYS বাংলাঃ বুধবার বিকালে দিল্লি থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামলেন দুর্গাপুরের তিন কন্যা। ইউক্রেনের যুদ্ধে আটকে পড়েছিলেন দুর্গাপুরের তিন মেডিক্যাল ছাত্রী, নেহা খান, জিন্নত আলম ও বিপাশা সাউ। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের।
ডিএসপি টাউনশিপের টেগোর অ্যাভিনিউয়ের নেহা খান, বেনাচিতির জিন্নত আলম জানান, বাসে করে তাঁরা রোমানিয়া সীমান্তে যান। সীমান্তে থেকে অনেক আগে বাস থেমে যায়। তারপর তাঁরা হাঁটতে শুরু করেন। মাইনাস ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা, বরফ পড়ছে। সেই অবস্থায় হেঁটে সীমান্তে পৌঁছান। সেখানে চরম অব্যবস্থা। ভিড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। শূন্যে গুলিও ছোড়া হচ্ছে। বাবা-মা, পরিবারের সঙ্গে আর দেখা হবে সেই আশা তাঁরা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে রোমানিয়ায় শেষ পর্যন্ত পৌঁছান।
তাঁরা জানান, রোমানিয়ায় ঢোকার পর থেকে ভালো ব্যবস্থা ছিল। এনজিও থেকে শুরু করে ভারতীয় দুতাবাসের লোকজন খুব সাহায্য করে। দুতাবাসের তরফে ভিসা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। পরে সেখান থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে তিনি দিল্লি আসেন রবিবার। সেখানে বঙ্গভবনে বুধবার দুপুর পর্যন্ত থেকে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাকি সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের গাইড করেন। শেষ পর্যন্ত বিকালে দুর্গাপুর পৌঁছান তাঁরা।
মায়াবাজার সুকান্তপল্লির বাসিন্দা বিপাশা সাউ গত বছর মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছেন ইউক্রেনে। তিনি জানান, সীমান্ত পেরোনো পর্যন্ত চরম উত্কন্ঠার মধ্যে ছিলেন। তবে সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ায় ঢোকার পরে আর কোনও সমস্যা হয়নি। ভারত সরকারের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল বলে জানান তিনি। অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে তিনজনকেই প্রশাসনের তরফে গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় এদিন।