দোল ও হোলির পার্থক্য জেনে নিন
TODAYS বাংলা: আমরা হয়ত অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা যে দোল মানেই হোলি নয়। তাই ভারতে স্থান ভেদে কোথাও হোলি আবার কোথাও দোল আলাদা আলাদা দিনে খেলা হয়।শাস্ত্র ও পৌরাণিক তথ্য মতে দোল ও হোলি একই অর্থে ব্যবহার হলেও এই দুটি বিষয় কিন্তু আসলে এক নয় । এই দুটি উত্সবের আলাদা আলাদা ভিন্ন ভিন্ন তাত্পর্য আছে । দুটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার এর সঙ্গে যুক্ত ।বিশেষ ভাবে বলতে গেলে এই উত্সব দুটির একটি শ্রীকৃষ্ণের লীলার সঙ্গে যুক্ত , অপরটি নৃসিংহ দেবের সঙ্গে যুক্ত । বিশ্বের বৃহত্তম রঙের উত্ সব বলতে দোল বা হোলি হিসেবে জানা গেলেও, বাংলায় এটি দোলযাত্রা , দোল পূর্ণিমা বা দোল উত্ সব নামে পরিচিত ।তবে ভারতের অন্যত্র বেশিরভাগ জায়গাতেই রঙের উত্ সবকে হোলি বলা হয় ।দোল ও হোলির নির্ঘণ্টআগামী ১৮ মার্চ শুক্রবার দোল পূর্ণিমা ।

তবে আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দোল পূর্ণিমার শুরু হচ্ছে । হোলিকা দহনের পর পালন হবে হোলি ।দোল ও হোলির পার্থক্যতথ্য অনুযায়ী দোল ও হোলি পালনের যে মূল উত্ স্য কথা সেটিই আলাদা । দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা পালিত হয় রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে । আর হোলি পালন করা হয় নৃসিংহ অবতারের হাতে হিরণ্যকশিপু বধ হওয়ার যে পৌরাণিক কাহিনি , তার ওপর ভিত্তি করে ।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল শ্রীকৃষ্ণ এবং নৃসিংহ অবতার উভয়ই ভগবান বিষ্ণুর অবতার । হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গ ুন মাসের পূর্ণিমা রাতের পরের দিন দোল উত্ সব পালন করা হয় ।মনে করা হয় এদিনেই রাধা ও তাঁর সখীরা দল বেঁধে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন । সুগন্ধি ফুলের কুড়ির রং কৃষ্ণের মুখে মাখিয়ে । সেদিনই কৃষ্ণ রাধার প্রতি তাঁর প্রেম নিবেদন করেছিলেন বলে মনে করা হয় ।
দোল ও হোলিeহোলির ইতিহাসঅত্যাচারী রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুরের পুত্র ছিলেন প্রহ্লাদ । দৈত্যকুলের মধ্যে প্রহ্লাদ একাই ছিলেন বিষ্ণুভক্ত । ছেলের এই বিষ্ণু ভক্তি দেখে পিতা হিরণ্যকশিপু ছেলেকে বধ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিলেন ।এই কাজে হিরণ্যকশিপুকে সাহায্য করেছিলেন তার রাক্ষস বোন হোলিকা ।এই দিনটিতে প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে আগুনে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেন । বিষ্ণুর কৃপায় আগুন প্রহ্লাদকে স্পর্শ করতে না পারলেও সেই আগুনে পুড়ে মারা যান হোলিকা । তাই হোলি হল অশুভ শক্তির পরাজয় ও শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক । তাই হোলির আগের দিন হোলিকা দহন পালন করা হয় ।