দেখে নিন কিভাবে উৎযাপন হচ্ছে মায়াপুরের দোল পূর্ণিমা
পূর্বা রায়: ২০২২ এর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দোলযাত্রা ১৮ মার্চ শুক্রবার বলাই বাহুল্য ১৯-২০ তারিখ শনিবার ও রবিবার হওয়ায় আনন্দ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ; আর তার মধ্যে একটি হল দোল পূর্ণিমা। কথিত আছে, এই দোল পূর্ণিমা কে কেন্দ্র করে শ্রীচৈতন্যের জন্মভূমি শ্রীধাম নবদ্বীপ মায়াপুরকে নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনী। তাই সেখানের দোল উৎসবের টানে মানুষ ভিড় করেন দেশ বিদেশ থেকে এসে। ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুর এর পক্ষ থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৬ তম জন্মতিথি উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে দীর্ঘ এক মাস ব্যাপী বিভিন্ন উৎসব। অনুষ্ঠান চলছে ২৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত। উক্ত অনুষ্ঠান গুলির মধ্য থাকছে বিশেষ উল্লেখ্য বৈষ্ণব সন্মেলন, নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমা, বিশ্বশান্তি যোগ্য নৌকা বিহার, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন






ভাষায় ভাগবত পাঠ, একাধিক সেমিনার, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দের দাঁড়া বিভিন্ন ভাষায় ভজন কীর্তন, বিভিন্ন নাটক, সঙ্গীত এবং শ্রী শ্রী রাধা মাধবকে হাতির পিঠে আহরণ করিয়ে মন্দির চত্বর পরিক্রমা ও বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে ভক্ত গণের উদেশ্য। মন্দিরে প্রবেশ করার থাকছেনা কোনো বাধা, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণের অধিকার। সুসজ্জিত হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণ, পাশাপাশি দূর দুরন্ত থেকে আসা ভক্তদের নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। দোলপূর্নিমার পূর্বে দর্শনার্থীদের সমারোহে ভরে ওঠে মায়াপুর। মন্দির সূত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ শুক্রবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের দিনটিও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গেই পালন করা হবে। দোল পূর্ণিমায় সারা ভারতবর্ষে চলে রং ও আবিরের মহোৎসব। ব্যতিক্রম, ইসকন মন্দিরে রং ও আবির খেলা হয় না। সেইদিন মন্দিরে চলে একাধিক উৎসব। সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব ক্ষণে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলী ও প্রার্থনা করা হবে বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব কল্যাণের জন্য। করোনা বিধি মেনেই মহাআয়োজনে নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হবে দোল পূর্ণিমা।