মধুসূদন দাস ও বাই লেন সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবারের থিম “তন্তুবায়”
TODAYS বাংলা: দীর্ঘ ৩৬৫ দিনের অপেক্ষার পর মা আসেন আমাদের ঘরে। আমরা প্রাণপণে অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর কেনা কাটা শুরু হয়ে যায় দীর্ঘ দিন আগে থেকেই। সাথে শুরু হয় প্যান্ডেল তৈরির কাজ। এবারে মধুসূদন দাস ও বাই লেন সার্বজনীন দুর্গোৎসব কি থিম করেছে তা বিষয়ে কথা বলে যা জানালেন-

১) পুজো কমিটির নাম
উঃ মধুসূদন দাস ও বাই লেন সার্বজনীন দুর্গোৎসব, অধিবাসীবৃন্দ


২) কত বছরের পুজো?
উঃ ৩৪ তম বর্ষ।
৩) এবারের থিম কি?
উঃ এবারের থিম :- তন্তুবায়

৪) প্যান্ডেল তৈরি হওয়ার উদ্যোগ পুজোর কতদিন আগে থেকে নেওয়া হয়?
উঃ প্যান্ডেল তৈরি উদ্যোগ :- ৬০- ৫০ দিন আগে থেকে নেওয়া হয় (এছাড়া আমরা প্যান্ডেল নিয়ে আমরা সারা বছর ধরেই নানা চিন্তাভাবনা করে থাকি)।

৫) থিমের ভাবনার কারণ?
উঃ ৩৪ তম বর্ষে আমাদের ভাবনা ‘তন্তুবায়’। লড়াই টা শুরু হয়েছে স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই , তখন লড়াই ছিল বিদেশ থেকে আমদানি করা বস্ত্রের বিরুদ্ধে দেশী তাঁতে বোনা মোটা কাপড়ের আর এখন লড়াই পাওয়ারলুম বা যন্ত্রচালিত তাঁতের বিরুদ্ধে।
‘তন্তুবায়’ যাদের আমরা তাঁতি বলে চিনি জানি , যাঁরা আমাদের লজ্জা নিবারণের জন্য তাঁতের কাপড়,ধূতি ,গামছা ইত্যাদি তৈরী করেন , আজ তাঁরাই যন্ত্র দানব পাওয়ার লুম এর সাথে অসম লড়াইয়ে নিজেদের পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। মহাজনী কারবারের জটে আজ হস্তচালিত তাঁত শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ৭ই আগষ্ট(২০১৫ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে) ঘটা করে জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস বা তাঁত দিবস পালন করা হচ্ছে, হস্তচালিত তাঁত শিল্প কে পুনরুদ্ধার করার জন্য ‘হ্যান্ডলুম রিজার্ভেশন অ্যাক্ট ‘ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার যদি না এই হস্তচালিত তাঁত শিল্প কে বাঁচাতে সংরক্ষণের ও বিপননের ব্যবস্থা করে অচিরেই একদিন হস্তচালিত তাঁত শিল্প হারিয়ে যাবে ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে। আমদের মূল ভাবনা বাংলার হারিয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় হস্তচালিত তাঁত শিল্প কে ফিরিয়ে আনতে ও তাঁতিদের ফিরিয়ে আনা।
