“বেলুন ফাঁস হয়ে গেছে, চিন্তার কিছু নেই” : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
TODAYS বাংলা: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন, তিনি দাবি করেন, “বেলুন ফাঁস হয়ে গেছে, চিন্তার কিছু নেই। বিজেপির নবান্ন প্রচারে কোনো লোক ছিল না।” আজ খড়্গপুরে মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব স্বাক্ষর শৈলীতে বিজেপিকে ব্যঙ্গ করলেন। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলীয় বৈঠক হয়। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে আজ তমলুকের একটি টোল প্লাজার কাছে বিজেপি কর্মীরা মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর খোঁজ করেন। তিনি তার দলের নেতাদের আহত নেতার বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজতে বলেন।
নবান্ন প্রচারে যাওয়ার পথে তমলুক টোল প্লাজার কাছে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে থামানো হয়েছিল। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। সেই মুহূর্তে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে বিক্ষোভ চলাকালীন পাশ দিয়ে যেতে দেখে হতবাক হয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তাকে মারধর করে তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তৃণমূল প্রধানকে। বিজেপির নবান্ন প্রচারের শুরুতেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল। প্রথমে বিজেপি কর্মীরা সাঁতরাগাছিতে পুলিশ গার্ড রেল উল্টানোর চেষ্টা করে। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল, ইট, পাথর ও বাঁশ নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশের কিয়স্ক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়। পুলিশ লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন দিক থেকে নবান্নে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। সাঁতরাগাছির কাছে পুলিশ বাধা দেয় শুভেন্দু অধিকারীকে। সেখান থেকে তাকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। লালবাজারের কাছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিলও আটকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে হাওড়া ময়দান থেকে নবান্নের দিকে মিছিল শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাওড়া থেকেও তাকে আটক করা হয়েছে।