সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে আজ প্রীতি সম্পূর্ণা!
TODAYS বাংলা, শ্রেয়া দাস: এক হার না মানা শিল্পীর গল্প আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা। যার নাম প্রীতি কুন্ডু চক্রবর্তী। তিনি মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে এই প্রফেশনকে বেছে নিয়ে শিক্ষালাভ শুরু ২০১৮ এর মেয়ে থেকে। ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি।

তবে বীরভূমে তার মানুষ হওয়া তাই সেখানে সেরম সুযোগ ছিল না তার শিল্প টাকে বৃহত্তর জগতে আনার। মাও ছিলেন ভীষণ অসুস্থ। তাই সেরম খোঁজ খবর নিয়ে আঁকার ক্লাসে ভর্তি হতে পারেননি তিনি। তাই শেখাও হলো না তার।

কিন্তু শিল্পকে কি আটকে রাখা যায়? সে সব সময়ই ছোট কাগজ পেলেও তাতে ছবি আঁকতে বসে পড়েন। এরপর পড়াশুনার সূত্রে কলকাতায় আসা। সাংবাদিকতা নিয়ে ২০১৬ তে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করে মাস্টার্স এর জন্য ভর্তি হন।

সাথে সংবাদ চ্যানেলে ট্রেনিং নিতে নিতে তার মাথায় হঠাৎ এটাই আসে যদি মেকআপ এর মাধ্যমে তার রঙ তুলির শিল্পটিকে কাজে লাগানো যায় তাহলে তার স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস। ২০১৭ তে হঠাৎ অসুস্থতা তাকে ভেঙে দেয় শারীরিকভাবে। বিরল রোগ ধরা পড়ে তার। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হয়।

২মাস বাদে আবারও অপারেশন হয়। ১বছর তাকে বিশ্রাম নিতে হবে ডাক্তার জানিয়ে দেন। ঘরে এইভাবে থাকতে থাকতে মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন কিন্তু নিজেকে বোঝালেন এভাবে ভেঙে পড়া চলবে না ঘুরে তাকে দাঁড়াতেই হবে।

নিজের কিছু জমানো টাকা রয়েছে সে জানায় তার মা ও তার স্বামীকে যিনি ঐ সময়ে তার প্রেমিক ছিলেন। এভাবেই ৬ মাসের মাথায় তার মেকআপ শেখা। আবারও শারীরিক অসুস্থতা তাকে ঘিরে ধরে কিন্তু যে একবার যুদ্ধ জয় করেছে সে আবারও পারবে সব বাধা পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। বাবা মা ও স্বামীই তার সাপোর্ট।

২০২০ তে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন মেকআপে। শিল্পকে ভালোবাসেন প্রীতি। নিজের পরিচিতি যেমন তৈরি করছেন তেমন তিনি চান যারা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছে তাদের এমন ২জনকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে মেকআপ শেখাবেন।

পাশে দাঁড়াবেন তাদের। তার এই পথ চলাকে আমরা TODAYS বাংলার তরফ থেকে কুর্নিশ জানাই। TODAYS বাংলার সাথে কাজ করে প্রীতি ভীষণই খুশি ও এরম কাজ আরও করতে চান অনেক শুভেচ্ছা তার জন্য।

