April 19, 2025 | Saturday | 11:39 PM

দুস্থ ও মেধাবী ছাত্রীর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে পুলিশ কর্মীরা

0

TODAYS বাংলা: এক দুস্থ মেধাবী ছাত্রীর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলো খোদ পুলিশকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির আদর পাড়া এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা নবন্মিকা দাশগুপ্ত খুব মেধাবী ছাত্রী।

ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পাস করেছে। তার খুব ইচ্ছে ছিল ডাবলু বিসিএস অফিসার হবে। কিন্তু তার পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয় সেই কারণে নিজের স্বপ্ন পূরণের রাস্তা থেকে পিছিয়ে আসে সে।

বর্তমানে বাবার সাথে একটি লটারির দোকান চালায় সে। তার বাবার নাম নাড়ুগোপাল দাশগুপ্ত। একটি পথদুর্ঘটনায় তার ডান হাতের কনুই চোট পায় তারপর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।

লটারির দোকান চালিয়ে সংসার চালান তিনি। পাশাপাশি মেয়ের পড়াশোনার খরচও তিনি চালাতেন। কিন্তু করোনা মহামারীর লকডাউন এগুলোর কারণে তার ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। সেই কারণে মেয়েকে আর পড়ানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।অগত্যা নব ন্মিকা তার বাবার সঙ্গে লটারির দোকানে বসে। নিজেরা ডাবলু বিসিএস অফিসার এর স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছে টাকে নিজের বুকের ভেতর দফন করেছে। এভাবেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে গুলোর আশা আকাঙ্খাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পারিবারিক আর্থিক অনটন স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সম্প্রতি তার খবর একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মীদের। এরপর তারা ঠিক করেন মেধাবী ছাত্রীর পড়ার খরচ ছাড়া বহন করবেন। খোঁজ নিয়ে তাঁরা দেখেন ডব্লিউবিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিতে গেলে ভালো কোচিং সেন্টারের পড়াশোনা চালানোর খরচ 77 হাজার টাকা। রীতিমতো চাঁদা তুলে তারা এই টাকা জোগাড় করেন। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে তার সমস্ত পড়াশোনার খরচ চালাবেন বলে ঠিক করেছেন পুলিশকর্মীরা।

গতকাল মেধাবী ছাত্রী ও তার বাবাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়, এরপর মেধাবী ছাত্রের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়। তাকে প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশকর্মীরা পড়াশোনার খরচ ও বহন করবেন তারা। পুলিশকর্মীদের এই মহৎ উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা করা হচ্ছে। সত্যি আজ মানবতা বেঁচে আছে ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *