April 20, 2025 | Sunday | 5:32 PM

ইচ্ছে থাকলে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন রায়া

0

TODAYS বাংলা, প্রীতি পাত্র: একটা কথা আমাদের সবার জীবনে খুবই প্রযোজ্য। ইচ্ছাপূরণ করা এবং কোনো কিছু শেখার কোনো ধার্য্য বয়স হয় না। আপনার ইচ্ছে শক্তি ও চেষ্টা থাকলে আপনি সব অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলতে পারেন। আজ আমরা এমনই একজনের গল্প শোনাবো। রায়া রায়। ছোটো থেকে সবার ইচ্ছে হয় ডাক্তার, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ারিং হওয়ার । কিন্তু রায়া রায়ের শৈশব কাহিনী তো বলছে একেবারে উল্টো কথা। ছোটো থেকেই তিনি বই খাতার থেকে হাতে মেকআপ ব্রাশ ধরতে বেশি ভালোবাসতেন। আর সবার মতো কিন্তু লেখাপড়াতেও বেশ ভালো। কিন্তু তা হলেও ছোটো থেকেই যে তার মেকআপ ব্রাশের প্রতি বেশি চাহিদা। নিজের থেকে সবসময় লোককে সাজাতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। তার হাতে কোনো উপহারের পরিবর্তে কেউ কোনো মেকআপের সরঞ্জাম তুলে দিলে তিনি বেশি খুশি হতেন। একজন মেকআপ আর্টিস্টদের কাছে তার মেকআপের সরঞ্জাম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তো আমাদের বোঝা সম্ভব নয় ।

যাই হোক এবার আসি আসল গল্পতে। ছোটো বেলার স্বপ্নপূরণ করতে বড়ো হয়ে কিছুদিনের একটি বিউটিশিয়ান কোর্স ও সম্পূর্ণ করেছিলেন তিনি। কাজও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও কোথাও যেন মেকআপের থেকে কোথাও দূরে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের মনের ইচ্ছেকে দমন করে রাখা যায়না তো ।তাই আবার হয়তো এই ফিরে আসা। ইচ্ছে থাকলেই যে সব অসম্ভব কে সম্ভব কে করা যায় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন রায়া। ঠিঅ দুমাস আগে আবারও মেকআপ ব্রাশ হাতে নিয়েই ফিরে এলেন রায়া। নিজের অভিজ্ঞতা কে আরও বাড়ানোর জন্য একটি মেকআপ ক্লাসেও যোগদান করেন তিনি। এতদিন পরে আবার ফিরে এলেন! এই প্রশ্নের উত্তরে রায়া বলেন, ” সবকিছুর মধ্যে আমাকে লেখাপড়াটাও চালিয়ে যেতে হত তাই হয়তো এই শূন্যস্থান। কিন্তু বিশ্বাস করো এই কিছুদিনে আমি বুঝতে পারলাম মেকআপটাই আমার সবকিছু। মেকআপের ব্রাশ ছাড়া আমি নিজেকে কেমন ক্লপনা করতে পারিনা। তাই এবার থেকে মেকআপটাই আমার ধ্যান জ্ঞান। সবকিছু দূরে সরিয়ে রেখে আমি এখন এইদিকেই মনযোগ দিতে চাই “।

রায়া আরও বলেন, ” মেকআপ ক্লাস তো শুরু ঠিকই করেছিলাম কিন্তু মনের জোরটা কোথাও যেন কম ছিল। কিন্তু TODAYS বাংলা -এর জন্য আজ সেটাও ফিরে পেলাম। প্রথম কাজ যে ম্যাগাজিনের পৃষ্ঠা থেকে শুরু করবো এটা সত্যিই ভাবিনি। TODAYS বাংলা -এর হাত ধরেই এটা সম্ভব হল। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই TODAYS বাংলা কে আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য । আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে রয়লাম আমি।”

শুরুতেই বলেছিলাম ইচ্ছে থাকলেই সব হয়। আর রায়া কিন্তু তা সত্যি করল। তার এই ইচ্ছে শক্তি চলুন আরও বাড়িয়ে দেওয়া যাক। যিনি দুমাসেই এত ভালো মেকআপ করতে পারেন তার ভবিষ্যৎ কতটা উজ্বল তা বলার সুযোগ রাখেনা। অবশ্যই রায়া রায়ের কাছে কেউ যদি নিজের মেকওভার করতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন ৮০১৭১২৭৯০২ এই নাম্বারে। তার এই চলার পথকে আমরা কুর্নিশ জানায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *