হাতির আক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মধু চাষ নূরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের
TODAYS বাংলা: আলিপুরদুয়ার 2 নম্বর ব্লকে ভুটানের পাদদেশে হয়েছে নুরপুর গ্রাম। কয়েক বছর আগে এই গ্রামের দৃশ্য ক্রমে ভয়ানক হয়েছিল।প্রায় প্রতিদিন হাতিহানা দিত ঐ গ্রামে, ফসল নষ্ট করে দিত, ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলত। এইসব দৃশ্য দেখতে দেখতে ক্রমশই ও অসহায় হয়ে পড়ছিলেন ওই গ্রামের গ্রামবাসীরা।

এরপর তারা উপায় বার করলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে মধু চাষ করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মত তারও শুরু করলেন মধু চাষ।

মানুষের মতো হাতি ও মৌমাছিকে খুব ভয় পায়। মৌমাছির গুঞ্জনের শব্দ এবং মৌমাছির হুল এই দুটিই তাদের পছন্দ নয়। তাই যেখানে মৌমাছি থাকে সেখানে হাতি সচরাচর যায় না।

মধু চাষ করার পর থেকেই গ্রামের সার্বিক চিত্র বদলাতে থাকে। হাতির হানা থেকে রক্ষা পায় নুরপুর গ্রাম। এছাড়া মধু চাষ করার ফলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহায়তায় ওই গ্রামের গ্রামবাসীরা মৌ চাষ শুরু করেন।

ইতিমধ্যে মৌ চাষিদের উৎসাহিত করতে রীতিমতো ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মধু নিষ্কাশনের যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।
