April 20, 2025 | Sunday | 1:53 AM

স্বাস্থ্যসাথীর ‘জালিয়াতি’ নিয়ে এবার তদন্তে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর

0

TODAYS বাংলা: জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার নির্দেশে জালিয়াতির তদন্তের জন্য বুধবার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (১) জগন্নাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন,তদন্ত কমিটি এদিন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে । এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । জানা গিয়েছে ,এই জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।

পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ‘জালিয়াতি’ করার অভিযোগে কাটোয়া গাঁফুলিয়া গ্রাম নিবাসী সালেহার বিবি নামে একজনকে সোমবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে কাজে যুক্ত থাকা সালেহার বিবির জামাই নুরুল হাসান। তাঁরা এখন কাটোয়া থানায় পুলিম হেফাজতে রয়েছেন।ওই নার্সিংহোমের ডিরেক্টর আবির গুহকে পুলিশ থানায় দেখা করার জন্যে নোটিসও দিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সিআইডির বর্ধমান শাখার একটি দল ওই নার্সিংহোমে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। পুলিশ ওই নার্সিংহোম থেকে পাওয়া ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রতিলিপি স্বাস্থ্য দফতরকে জমা দিয়েছে । সেখানে পুলিশ জানিয়েছে, ৪২ জন রোগীর সন্ধান মিললেও বাকি ৮১টি কার্ডের প্রাপকদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।


স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন ,ওই ৮১টি কার্ডের ধরে যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করা হবে। কেন এতগুলি স্বাস্থসাথী কার্ড নার্সি হোমে ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।তাঁরা প্রতিটি কার্ডের প্রাপককে ফোন করে তা যাচাই করে দেখতে চাইছেন ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায় ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আগেও স্বাস্থ্যসাথী নিয়েই অভিযোগ উঠেছিল। ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট’ আইন না মানায় ওই নার্সিংহোমকে বন্ধও করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সিআইডি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা একটি বিশদে রিপোর্ট ভবানী ভবনে পাঠাবে। সেখান থেকে নির্দেশ এলে সিআইডি তদন্তভার নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন ওই নার্সিংহোমের ডিরেক্টর আবির গুহ বলেন, ” তদন্তকারী সব দলের কাছেই সব রকমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। কয়েক দিন পরেই তো তদন্ত রিপোর্ট বেরিয়ে যাবে ।’।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *