April 20, 2025 | Sunday | 12:34 PM

প্রিন্সিপাল বিতর্কে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ অফ কমার্সের পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে

0

TODAYS বাংলা: প্রিন্সিপাল বিতর্কে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ অফ কমার্সের পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ সিদ্ধার্থ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে এবার থানায় মিছিল করলেন কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রিন্সিপালকে পদত্যাগ করতে হবে।
সোমবার ওই কলেজের মিছিলে বিক্ষুব্ধ অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের সঙ্গে সামিল হন কলেজের কয়েকজন প্রাক্তনীও। থানায় গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তারপর মিছিল করেই ফিরে আসেন কলেজের গেটে। কলেজের অভ্যন্তরীণ এই অশান্তি শহরের রাস্তায় নেমে আসায় জলপাইগুড়ি শহরজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।


প্রিন্সিপালের সঙ্গে কাজ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই সিদ্ধার্থ সরকারের বিরুদ্ধেই কিছুদিন আগে অভিযোগ উঠেছিল তিনি কলেজের অধ্যাপিকাদের উদ্দেশে বলেছেন, “আমি চাকরি না দিলে তোমাদের বার ডান্সার হতে হত। তাই এখানে আমি যা বলছি তেমনই হবে।” অধ্যাপিকাদের ফোন করেও নানারকম হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এরপর প্রিন্সিপাল বিতর্ক নতুন মাত্রা যোগ করে একটি ছবি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হওয়া সেই ছবিতে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় কলেজের হেড ক্লার্ক এবং এক অধ্যাপিকাকে। ছবিটি নিয়ে সরব হয় কলেজের ছাত্ররাও।
হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী বলেছেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আমরা সরব হতেই কেউ বা কারা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের পরিজনদের ফোনে হুমকি দিচ্ছে। ভাইরাল ছবিটি তিন বছর আগের, এবং একটি গ্রুপ ছবি থেকে ক্রপ করা বলেও দাবি করেছেন রাজীব। এসব করে আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে সাইবার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন অধ্যাপকরা।
কলেজের এক প্রাক্তনী অজয় সাহা বলেন, গত কয়েকদিনে যা হয়েছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে অধ্যক্ষ কলেজের সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। অধ্যক্ষ একাই ঠিক কথা বলছেন, কলেজের বাকি অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অশিক্ষক কর্মীরা সকলে ভুল বলছেন, এটা মানা যায় না। তাঁর আরও প্রশ্ন, অধ্যক্ষ একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে কীভাবে জেলার পুলিশ সুপারের কথা বলে লোকজনকে শাসাচ্ছেন? কীভাবে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের তিনি বলছেন, কোনও সংগঠন মানেন না? আমরা চাই অবিলম্বে কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।
এই পরিস্থিতিতে কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, ওঁদের অভিযোগ নিশ্চয়ই পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। এর বেশি আমার আর কিছু বলার নেই। পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *