পয়লা বৈশাখে বিক্রি নেই বাজারে
TODAYS বাংলা: কাল পয়লা বৈশাখ অথচ বিক্রি নেই বাজারে।আগামীকাল পয়লা বৈশাখে বিক্রি নেই একেবারেই শিলিগুড়িতে।কি হালখাতা,কি কাপড়ের দোকানে সব জায়গাতেই একটা শুন্যতা তৈরী হয়েছে।

শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের বাজার একেবারে খা খা করছে।বিক্রি কমতে কমতে একেবারে তলানিতে এসে পৌছিয়েছে।এক বিক্রেতা জানালেন গত দুবছরে করোনার কারনে একেবারেই বিক্রি হয় নি,এবারে যাও বা ভেবেছিলাম সেটাতো হলই না উলটে আরো কমে গেল বাজারের বিক্রি।


শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের বেশ কয়েকটি শাড়ির দোকানে একেবারেই বিক্রি হয় নি বলে জানালেন এক বিক্রেতা,তিনি জানালেন যে বিক্রেতা একবারে বছরে সাত থেকে আটটা শাড়ি কিনতেন সেটা কমে গিয়ে এখন দাড়িয়েছে দুটোতে।

প্রয়োজন না পড়লে কে কিনবে শাড়ি।এক বিক্রেতা জানালেন শাড়ির দামও বেড়েছে অনেকটাই,তাই সাধ থাকলেও সাধ্য নেই অনেকের কাছে।একই অবস্থা শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেট এবং শিলিগুড়ির হকার্স কর্নারের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে বলে জানালেন সেখানকার বিক্রেতারা। অনেকেই শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনছেন বলে জানিয়েছেন তারা।যে শিলিগুড়ি বাজারে পয়লা বৈশাখের আগে ভীড়ে থিকথিক করত এখন একেবারেই হাহাকার করছে বাজার।বিক্রি নেই মিষ্টির দোকানেও আগে যা অর্ডার আসত এখন তার কুড়ি ভাগের ও কম আর্ডার পাই বলে জানালেন এক মিষ্টি বিক্রেতা।

আগে এক বিক্রেতা যেখানে তিনশো প্যাকেটের অর্ডার দিতেন এখন সেটি কমে গিয়ে দাড়িয়েছে পঞ্চাশ টার মতন।পয়লা বৈশাখের আগে শিলিগুড়িতে বাঙালির ছোয়া নাম দিয়ে প্রচুর রেষ্টুরেন্ট খুলেছে,এখন তারাও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কতদিন চালাতে পারবেন তাদের দোকান।

সবমিলিয়ে বাঙালির এই উৎসবের আগে মেজাজে নেই শিলিগুড়ি।নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্বি এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষকে যে তারা উৎসবের আনন্দ ভুলে যেতে বসেছেন তাও আবার পয়লা বৈশাখের আনন্দ।একদিন পরে পয়লা বৈশাখ।অথচ বিক্রি নেই শিলিগুড়ির বাজারে।