নতুণপল্লি প্রদীপ সংঘের এবারের থিম “রুদ্র”
TODAYS বাংলা: দীর্ঘ ৩৬৫ দিনের অপেক্ষার পর মা আসেন আমাদের ঘরে। আমরা প্রাণপণে অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর কেনা কাটা শুরু হয়ে যায় দীর্ঘ দিন আগে থেকেই। সাথে শুরু হয় প্যান্ডেল তৈরির কাজ। এবারে নতুণপল্লি প্রদীপ সংঘ কি থিম করেছে তা বিষয়ে কথা বলে যা জানালেন-

১) পুজো কমিটির নাম
উঃ নতুনপল্লি প্রদীপ সংঘ ( লেক টাউন)

২) এবারের থিম কি?
উঃ থিম: রুদ্র

৩) প্যান্ডেল তৈরি হওয়ার উদ্যোগ পুজোর কতদিন আগে থেকে নেওয়া হয়?
উঃ ৩ মাস আগে থেকে নেওয়া হয় উদ্যোগ।

৪) থিমের ভাবনার কারণ?
উঃ রুদ্র ,আমরা জানি যে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা মহাকাল ,তথা দেবাদিদেব মহাদেব। মানুষও জাতি থেকে শুরু করে,সমস্ত কিছু তারই সৃষ্টি।এই বাস্তব পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা যদি বাস্তবিক এবং কাল্পনিক প্রেক্ষাপট কে রিলেট করি তাহলে দেখতে পাবো যে মহাকালের সৃষ্টি এই মানুষ্যজাতি,বিভিন্ন অকাজে, কুকাজে লিপ্ত হয়েছে।লোভ ,লালসা ,হানাহানি ,ঘৃণা তে মানুষ মেতে উঠেছে এককথায় মানুষের পাপের ঘরা পূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহাকালের অবর্তমানে অশুভ শক্তি মর্তের বিনাশ করতে উদ্দত হয়েছেন। মানুষের কৃতকর্মে ক্রুদ্ধ মহাদেব ,রুদ্র রূপ ধারণ করেছে এবং,ধরিত্রীর বুকে ভূমিতে প্রবেশ করেছে। শুধুমাত্র কিছু ,নিষ্পাপ,দিন দরিদ্র ,সৎ ভক্তের কান্তিহীন প্রাথনায় শুধুমাত্র নিজের ললাট এই ভূমির ওপরে রেখেছেন। তার ত্রিশূল গগন ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে,নন্দী মহারাজের সিং পর্বতশৃঙ্গের মত,ধরিত্রীর এই অশেষ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। মহাদেবের ত্রিনয়নে দেবী মহামায়া ,মা দূর্গা বিরাজমান ,তাকে ভক্তি ভরে ,প্রার্থণা করে ডাকলেই মহাকালের এই রুদ্ররূপ থেকে নিস্তার পাবে মর্ত্যবাসী ,শান্তি ও স্থিতি ফিরবে পৃথিবীতে।

