পাঠক পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এবারের থিম “বজরা এলো দেখতে চলো “
TODAYS বাংলা: দীর্ঘ ৩৬৫ দিনের অপেক্ষার পর মা আসেন আমাদের ঘরে। আমরা প্রাণপণে অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর কেনা কাটা শুরু হয়ে যায় দীর্ঘ দিন আগে থেকেই। সাথে শুরু হয় প্যান্ডেল তৈরির কাজ। এবারে পাঠক পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির কি থিম করেছে তা বিষয়ে কথা বলে যা জানালেন-

পুজো কমিটির নাম :
পাঠক পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, পরিচালনায় সপ্তশিখা

১) আপনাদের দুর্গা পুজো কতদিনের ?
উঃ ১০০ বছর
২) এবারের থিম কি?
উঃ বজরা এলো দেখতে চলো

৩) প্যান্ডেল তৈরি হওয়ার উদ্যোগ পুজোর কতদিন আগে থেকে নেওয়া হয়?
উঃ জুন ২০২২
৪) থিমের ভাবনার কারণ?
উঃ বজরা এলো দেখতে চলো
নদীমাতৃক আমাদের
দেশে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল বজরা। বর্তমানে নদীপথে যোগাযোগ যেমন অতীতের ধ্বংসাবশেষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি নদীপথে পাড়ি দেওয়া বজরা ও এখন অতীত ঐতিহ্য। বিশ শতক পর্যন্ত বজরা ছিল ধনী, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই বাঙালি হৃদয়ের চিরন্তন আবেদন ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই বছরের প্রয়াস —
” বজরা এলো , দেখতে চলো।”

আমাদের এই মন্ডপে পা রেখেই মানসচক্ষে ভেসে উঠবে সেই পালতোলা নৌকা — যার কারুকার্য্য ও শিল্পনৈপুন্য সত্যি – ই মনোমুগ্ধকর। মন্ডপের অন্দরে আমরা চলে যাব সেই মায়াময় পরিবেশে যেখানে পূজিত হচ্ছেন সর্বঅশুভ শক্তির বিনাশকারী মাতৃরূপী নারীশক্তি। কিন্তু এই চিরন্তন মাতৃআরাধনায় গত দুবছর নেমে এসেছিল করোনা আতিমারির নির্মম হাত যা আমাদের সকলের জীবনে এনেছিল চরম বিপর্যয় ও অনিশ্চয়তা। মহামারীর এই অভিশাপ থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতে ও সকল মানুষের মুখে অন্ন জোগাতে — মায়ের আগমন গজে , শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা নিয়ে সকলের মুখে অনাবিল হাসি ফোটাতে।

অস্ত্রহীণ স্নিগ্ধ মাতৃমূর্ত্তির হাতে রয়েছে পবিত্রতার প্রতীক পদ্মফুল — সহায়হীণ মানুষের ঐকান্তিক আরাধনায় তুষ্ট দেবী মহামায়ার আশীর্বাদ ঝরে পড়ছে বজরার প্রতিটি কোণে। মায়ের আগমনে সপ্তশিখার শত সদস্যের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আলোকিত শতবর্ষের এই বজরা আপনাদের শুভকামনায় এগিয়ে চলুক সহস্র বছরের অভিমুখে —— এই আশা — ই রাখি।।