শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান
TODAYS বাংলাঃ অনেকের মধ্যেই একটা ভীতি কাজ করে—শিশুরা খুব বিরক্ত করে! এ কারণেই অনেকে শিশু হতে এক শ হাত দূরে থাকেন! নেহাতই শিশুদের মুখোমুখি হতে হলে নিরাপদ দূরত্বে থেকে মোলাকাত পর্বটি সেরে ফেলেন। মন খারাপ হলে শিশুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে দেখুন। শিশুদের সারল্য আপনার মন খারাপ ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেবে। উল্টাপাল্টা প্রশ্ন, অকারণে হাসি, ওদের আজগুবি খেলায় যোগ দিলেই বুঝতে পারবেন, জীবনটা অনেক সুন্দর। এখানে মন খারাপ করে সময় নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না।

বই পড়ুন
যান্ত্রিক জীবনে বই পড়া হয় না অনেক দিন। মন খারাপ কিন্তু একটা ভালো বাহানা বইয়ের পাতায় ডুব দেওয়ার জন্য। প্রিয় লেখক, প্রিয় বই কিংবা হতে পারে নতুন কোনো লেখক বা বই। মন খারাপের কারণটা যত গভীরই হোক না কেন, কিছুক্ষণের জন্য হলেও বই আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে।
পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলুন
পরিচিত মানুষটি আপনার মন খারাপের কারণ না হয়ে থাকলে এই পরামর্শ দারুণ কার্যকর হবে সন্দেহ নেই। যে মানুষটিকে ফোন করবেন, তিনি আবার উপদেশ দিতে শুরু না করলেই হয়! মন খারাপের সময় উপদেশ নয়, মন ভালো করার মতো কথাবার্তা বলাই উত্তম। উপদেশের বাক্স ওঠানো থাকুক পরবর্তী কোনো সময়ের জন্য।
রান্না করুন
যাঁরা রান্না করতে ভালোবাসেন, তাঁরা এর মর্ম বুঝতে পারবেন। কড়াই-খুন্তির সঙ্গে কিছুক্ষণ থাকলেও মন ভালো হয় বৈকি! রান্না অথবা বেকিং মন ভালো করতে নাকি অনেকটাই সাহায্য করে।

এক দিনের ছুটি নিন
সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্র ও বাসা—দুই জায়গা থেকেই একদিনের ছুটি নিন। প্রতিদিনের রুটিন থেকে বেরিয়ে নিজের মতো কিছুটা সময় কাটান। মন খারাপ, স্ট্রেস থেকে মুক্তি মিলবে অনেকটাই।
চুল কাটান
শুনতে বেশ আজগুবিই লাগবে; তারপরও এটা বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ফল! বাস্তবে এর সত্যতা মিলেছে। চুল কাটলে মন ভালো থাকে। চুল কাটলে চেহারার লুক বদলে যায়। অনেকটা ভারমুক্ত লাগে। এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, মন খারাপ ভাব দূর করতে চমৎকার এক বুদ্ধি এটি।
সিনেমা দেখুন
দুই থেকে তিন ঘণ্টার জন্য টেলিভিশনের পর্দায় ব্যস্ত রাখুন চোখ দুটিকে। এ ক্ষেত্রে হালকা, মজার কোনো ছবি বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
খেতে খেতে হোক আড্ডা
খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা—দুটোই মন ভালো করতে কাজ করবে জাদুর মতো।
নিজেকে সাজান
সাজলে মন ভালো হয়ে যায়; কিছুটা তো অবশ্যই। পছন্দমতো রঙের পোশাক, হালকা সাজ আপনার মনটাকে অনেকটাই সতেজ রাখবে। মন খারাপের দিন নতুন পোশাক পরে দেখুন, কিছুটা হলেও ফুরফুরে লাগবে।
বেড়াতে যান
কিছুক্ষণের জন্য সম্ভব হলে বেরিয়ে আসুন বাইরে থেকে। রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটাও এ ক্ষেত্রে বেশ কাজে দেয়।