April 20, 2025 | Sunday | 1:40 PM

শরীর সুস্থ রাখতে কি ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয়?

0

অর্পিতা মাইতিঃ শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয়। হাড়, দাঁত মজবুত করতে এই ভিটামিন যথেষ্ট কার্যকরী। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এই ভিটামিন বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন ডি-এর মূল উত্‍স হল সূর্যরশ্মি। এর পাশাপাশি মাশরুম, ফ্যাট জাতীয় মাছ, দুগ্ধজাত খাবার থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।তবে খাবারের মাধ্যমে কম পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় বলেই অনেকেই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে শুরু করেন। চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। তবে কেউ যদি চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়াই অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তাহলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিন বেশি খেতে শুরু করলেই শরীরে ফুটে ওঠে বিষক্রিয়া। এ কারণে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ব্যাপারে সর্তক থাকা প্রয়োজন।

কতটা ভিটামিন ডি প্রয়োজন?

আমেরিকার ডায়েটরি রেকমেনডেশন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৬০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এই পরিমাণ ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছালে শরীর ভালো থাকে।

ভিটামিন ডি টক্সিসিটি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাসে ৬ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিটের বেশি ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছালে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে পরপর কয়েক মাস এই ঘটনা ঘটলেই মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি টক্সিসিটি দেখা দেয়। এই টক্সিসিটি থেকে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।

ভিটামিন ডি বেশি খাওয়ার জন্য যেসব সমস্যা দেখা দেয়-

কিডনির সমস্যা : শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ঠিক থাকা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি বেশি থাকলে রক্তে ক্যালশিয়াম বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত ক্যালশিয়ামকে শরীর থেকে বের করতে প্রচুর খাটতে হয় কিডনিকে। ফলে কিডনির উপর বাড়তি চাপ বাড়ে। দেখা দেয় সমস্যা।

অবসাদ : মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন। তবে ভিটামিন ডি শরীরে বেশি থাকলেও দেখা দিতে পারে অবসাদ, সাইকোসিসের মতো সমস্যা।

গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল কমপ্লিকেশন : রক্তে বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম জমলে তা পাকস্থলীর স্বাস্থ্যও খারাপ করতে পারে। এক্ষেত্রে পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।

ভিটামিন ডি শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। সেই ভিটামিন রোদের মাধ্যমেই শরীরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করুন। আর একান্তই ওষুধ খেতে হলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *