শীতকালে পেশির টান কি ও কীভাবে মুক্তি পাবে তা থেকে জেনে নিন!
অর্পিতা মাইতি
TODAYS বাংলাঃ হঠাৎ করেই হাত বা পায়ের পেশিতে টান পড়ে অনেকের। বিশেষ করে শীতকালে সকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেকসময় আবার হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। ইংরেজিতে এই সমস্যাকে ক্যাম্প বলা হয়।
হাতে, পায়ে বা কোমরে এই টান পড়ার পেছনে রয়েছে ডিহাইড্রেশন। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে এই টান ধরার প্রবণতা বেড়ে যায়। সে সঙ্গে থাকে তীব্র যন্ত্রণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশি পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতির প্রভাব পড়ে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়।

শীতে আবার অনেকে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। এতে শিরায় টান পড়ার প্রবণতা বাড়ে। সাধারণত পানি পানের পরিমাণ বাড়ালে ক্র্যাম্প সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই শিরায় টান পড়লে কী করবেন? কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
হাত পায়ের আঙুল বা কোমরের ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থান ও তার চারপাশে আঙুলের সাহায্যে চাপ দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এমনভাবে ম্যাসেজ করবেন যেন শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
পায়ের শিরায় টান পড়লে ম্যাসেজের পর ওই স্থান একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। এ সময় অন্য যে কোনো ব্যায়াম না করাই ভালো। প্রথম পায়ের হাঁটু ভাঁজ করুন। অন্য পা পেছনে টান টান করে ছড়িয়ে দিয়ে টান ধরা পায়ের হাঁটুর ওপর শরীরের ভর ধীরে ধীরে ছাড়ুন।রক্তবাহ শিরা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা, বড় হয় ও মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় ভেরিকোজ ভেন। পা ও থাইয়ের শিরাতেই এই সমস্যা বেশি হয়। পায়ের ডিপ ভেন দিয়ে অশুদ্ধ রক্ত নিচ থেকে উপরে উঠে হার্টে পৌঁছায়। কিন্তু ভেরিকোজ ভেন হলে তা ঠিকমতো উপরের দিকে উঠতে পারে না। পুনরায় নিচে চলে আসে। তখনই শিরা ফুলে ওঠে বা জালিকার মতো অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
কীভাবে চিনবেন?
হাঁটতে কষ্ট
পায়ে শিরায় টান ধরে ব্যথা
গোড়ালি থেকে পায়ের উপরের অংশ ফুলে যাওয়া
শিরা ফোলা ও মোটা হয়ে যাওয়া
নীলচে শিরা মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে প্রকট হলে
শিরা ফেটে রক্তক্ষরণ
পায়ের নিচের অংশ রক্ত জমে কালো দেখতে লাগলে ও পায়ে ঘা হলে সাবধান। লক্ষণ না চিনতে পারার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুখের প্রথম ধাপে চিকিৎসা শুরু করেন না অনেকে। বেশ কয়েক বছর বিনা চিকিৎসায় থাকলে পায়ে ঘা হয়ে রক্তপাত হতে পারে।
কাদের হয়?
দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজের সঙ্গে যুক্তরা (পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী, শিক্ষক-শিক্ষিকা) বেশি আক্রান্ত হন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের শিরায় চাপ বেশি পড়ায় ভেরিকোজ ভেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পায়ের ডিপ ভেনে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা থাকলেও হতে পারে। এছাড়া লম্বা ও মোটা ব্যক্তিদেরও সম্ভাবনা বেশি। ছেলেদের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়। এর কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোন। যে সব মহিলার ইস্ট্রোজেন হরমোন ভারসাম্যহীনতার প্রবণতা থাকে তাঁদের ৩০-৩৫ বছর বয়স থেকেই এই অসুখ হতে পারে। আবার কোনও কারণ ছাড়াও ভেরিকোজ ভেন হতে পারে।

১. পানিশূন্যতা
শরীর ও মনের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আর্দ্র থাকা জরুরি। এটি পেশির কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলে। পানি পেশির টিস্যুকে শিথিল করতে কাজ করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে এই সমস্যা হতে পারে।
২. অপুষ্টি
শরীরে যেকোনো ধরনের পুষ্টির অভাব হলে এই সমস্যা হতে পারে। মিনারেল পেশিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণে তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।
৩. অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে
উঁচু হিল বা আঁটসাট জুতা পরে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের শিরাটানের সমস্যা হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কাজ করলে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হয়।
৪. গর্ভাবস্থা
গর্ভবতী নারীদের এই সমস্যা হতে পারে। সাধারণত গর্ভধারণের চতুর্থ মাস থেকে শুরু হয়ে শেষ মাস অবধি এই সমস্যা হতে পারে। জরায়ুর মধ্যে চাপের কারণে পায়ের স্নায়ুতে চাপ পড়ে সাধারণত এই সমস্যা হয়।
৫. থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি
শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে এই সমস্যা হয়। এই হরমোন ক্যালসিয়ামের শোষণে প্রভাব ফেলে। ক্যালসিয়ামের অভাবে পেশিতে দুর্বলতা, অবসন্নতা, ব্যথা, শিরাটান লাগার সমস্যা হয়।
বিয়ের পর যৌনজীবন স্বাভাবিক একটি ঘটনা এই সময় সকলেরই যৌন উত্তেজনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই যৌন মিলন হয়না তার অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ওবেসিটি অনেকেই হয়ত জানেননা ওবেসিটির কারণে যৌন মিলনের থেকে ইচ্ছে চলে যায়, জানিনা এই ওবেসিটির জন্য কেন যৌন মিলন থেকে ইচ্ছে চলে যায় এই সমস্যার জন্য আমরা কথা বলেছি অ্যাপোলোর ডাক্তার রুক্মিণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে তিনি জানান, ওবেসিটি শারীরিক দিক থেকেও যেমন সমস্যার সৃষ্টি করে, তেমন যৌন জীবনেও নানান সমস্যার সৃষ্টি করে। সাধারণত এই ওবেসিটি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। করোনাকালে বাড়িতে বসেই সবাই সবকিছু পেয়ে যাচ্ছে তাই অধিকাংশের এই সমস্যা রয়েছে।