May 6, 2024 | Monday | 11:05 PM

এক অন্য সম্পর্কের ছবি “চতুর্ভুজ”

0

TODAYS বাংলা: অজানা অচেনা ভিন্নধর্মী সম্পর্ক নিয়ে মানব ধর্মী কাহিনী এবার উঠে আসবে বড় পর্দায়। একটা চতুর্ভুজের যেমন চারটে বাহু থাকে তেমনই জীবনের চারটি সম্পর্কের একটি বন্ধনের মধ্যে আটকে রেখেই সুরাজ তৈরি করছেন তাঁর নতুন ছবি চতুর্ভুজ
প্রথম গল্প দম্পতি। দ্বিতীয় গল্প সন্তান। তৃতীয় মা আর চতুর্থ গল্প বাবা। সংসারের এই চার সম্পর্কের কথাই আলাদা অনুভবে উপলব্ধি করতে পারবেন এই ছবিতে।

চতুর্ভূজ ছবিটি চারটি ছোট ছোট কাহিনীর সংমিশ্রণ। একটি চতুর্ভূজের চারটি বাহু যেমন পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে থাকে, এখানেও মানুষের জীবনের চারটি পর্যায় পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে আছে। এই চারটি পর্যার হল দম্পতি, সন্তান, মা ও বাবা। একটি নারী ও পুরুষের যখন বিবাহ হয় তারা হয় দম্পতি। দাম্পত্য জীবনের সবচেরে সুখী সময় যখন তাদের জীবনে আসে সন্তান। জীবনে সন্তান এলে নারী হয় মা আর পুরুষ হয় বাবা। তাই চারটি ছবির এই চারটি নাম। এখানে উল্লেখ্য একটি গল্প যেখানে শেষ হয়, পরের গল্পের ঠিক সেখানেই কোনো না কোনো সূত্র ধরে শুরু হয়।

প্রথম কাহিনী দম্পতি – দেখা যায় এক খিটখিটে বয়স্ক লোকের সাথে একই ফ্ল্যাটে থাকে এক মহিলা৷সেই ফ্ল্যাটে দু’জন থাকলেও উপস্থিতি ঘটে এক রহস্যময় পুরুষের যার সাথে মহিলার সম্পর্ক একটা কুয়াশার ঘোরে আবদ্ধ। দুজনের মধ্যে যেন গড়ে উঠেছে একটা অবৈধ কোনো বোঝাপড়া। কিন্তু কে এই দ্বিতীয় পুরুষ? এই সংসারের সাথে কিই বা সম্পর্ক তার?

দ্বিতীয় কাহিনী সন্তান যেখানে একটি ধনী বাড়িতে একাকী থাকা এক অবিবাহিত মহিলাকে সপ্তাহে দু’তিনদিন বাজার করে দিয়ে যায় করিম নামের একটি ছেলে৷ অন্য জাতের বলে খিটখিটে মহিলা তাকে ঘরে ঢুকতে দেয় না। করিম বাইরে থেকে হাসিমুখে তার কাজ করে দেয়। মহিলা করিমকে বাড়ির বাইরেই বসিয়ে শোনান তার বোনদের আর বোনঝিদের কথা, যারা তাকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসে৷ তার ভালোর জন্যে সবসময় চিন্তা করে। মহিলাও তাদের ভালোবাসার পাগল৷ করিম ওদের কথা শুনতেও খুব ভালোবাসে। কিন্তু একদিন এমন পরিস্থিতি আসে তাকে বাড়ির ভিতরে পা দিতে হয়। আর সেদিন তার সামনে উঠে আসে আসল সত্য।

তৃতীয় কাহিনীর নাম মা – একজন মা, আর তার ছেলে। দুজনে দুজনকে চোখে হারাতো৷ বাবা – সাবধান করে বলতো অতিরিক্ত ভালোবাসা জীবনে দুঃখ ডেকে আনে৷ কিন্তু মায়ের মন কখোনোই মানতে চায়নি সে কথা৷ কিন্তু একদিন এমন একটা সময় আসে যেদিন এই ছেলেই মা-কে ঠেলে দেয় এক নতুন জীবনের দিকে, যে জীবন হয়তো মা কখনও চায়নি৷ কিন্তু ছেলের প্রতি ভালোবাসায় তিনি পৌঁছে যেতে বাধ্য হন এক নতুন দুনিয়ায়৷ কি সেই দুনিয়া? কেনই বা ছেলে বাধ্য হোলো মা-কে সেখানে পাঠাতে? প্রশ্ন রেখে যায় – অতিরিক্ত স্নেহ কি শুধু যন্ত্রণাই দেয়?

এই পর্যায়ের চতুর্থ ও শেষ কাহিনীটি হল বাবা– যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের একটি ছেলে, সবাই যাকে হাবা বলে ডাকে, আসলে সে অপরিপক্ক মানসিকতার শিকার। ঠিকমত কথাও বলতে পারে না। ছোটদের সাথে তার বেশী বন্ধুত্ব। আর বড়দের মধ্যে তার প্রিয় বান্ধবী হচ্ছে তার ছোটবেলার খেলার সাথী ঝিমলি। হাবা নিজে কথা বলতে না পারলেও সে সবার সব কথা সব শব্দ উপভোগ করে।কেবল একটা শব্দকে সে চিরকাল ঘিন্না করে এসেছে “বাবা”। কারণ গ্রামের লোকে বলে তার জন্মের ঠিক নেই। সে অবৈধ সন্তান৷ তবু ঝিমলি তাকে ভালোবাসে, একসাথে সংসার করার স্বপ্ন দ্যাখে। কিন্তু এই ঝিমলি একদিন হারিয়ে যায়৷ হাবা পাগলের মত খুঁজে বেড়ায় তাকে। একদিন খুঁজেও পায়। কিন্তু কি অবস্থায়? আর বাবা শব্দটার ওপর থেকে কি হাবার ঘিন্না চলে যাবে? তার উত্তর দেবে এই শেষ গল্পটি ।

সানরাইজ মুভিজের নিবেদন এই ছবি সুরজের পরিচালনায়,
উপদেষ্টা বাপ্পা বন্দ্যোপাধ্যায়, গল্প ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর রূপক চক্রবর্তী।

অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জি, তমাল রায় চৌধুরী, রজতাভ দত্ত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুরাজ মল্লিক ও রিন্টু। অভিনেত্রী মানসী সিনহা, অনামিকা সাহা ও হিমিকা।নবাগত অভিনেতা অভিজিৎ , রিয়াজ, ঈশান। নবাগতা অভিনেত্রী সুজাতা সাহা,মনীষা বেলেল, শিশু শিল্পী নিশা।
এছাড়াও আছেন-
সুরাজ অলি খান ও মহম্মদ
আজিজ, ও মাধব চট্টোপাধ্যায়।

Advertise

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *