গরমে খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই উপদানগুলি
TODAYS বাংলা : বসন্তের আভাস কাটার আগেই জাঁকিয়ে পড়ছে গরম। গরমের চোটে বাইরে বেরোনোর আগেই ভাবতে হয় বারবার। ইর গরমে শারীরিক অসুস্থতা তো লেগেই আছে। আপনি রোজ যা যা খাচ্ছেন, তারই উপর নির্ভর করবে আপনার শারীরিক সুস্থতা। তাই প্রাচীনকাল থেকেই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মেনে চলা হয় বিশেষ খাদ্যতালিকা। জানতে চান, তার আবশ্যক উপাদান কোনগুলি?
ডাবের জল: ডাবের দাম বেশি নয়, কিন্তু তা আপনার শরীরকে শীতল ও আর্দ্র রাখতে দারুণ কার্যকর। এর মধ্যে নুন ও অন্য নানা খনিজ উপাদান থাকে, তা আপনার সামগ্রিক সুস্থতার জন্য খুব দরকারি। ভারতের উপকূল অঞ্চলে প্রচুর ডাব হয়, গরমের দিনে ইচ্ছে করলেই আপনি 2-3টি ডাবও খেতে পারেন। ডাবের জল কিন্তু আপনার ফেস মাস্কের বেস হিসেবেও চমৎকার!

দই: দোকানে পাতা কড়া মিষ্টির লাল দই এক আধদিন চলতে পারে, রোজ খাওয়ার জন্য ভালো কিন্তু ঘরে পাতা সাদা টক দই। দক্ষিণীদের মতো কারিপাতা, আদা-কাঁচালঙ্কাকুচি, সরষে ফোড়ন দেওয়া পাতলা ঘোল বানান বা উত্তর ভারতীয় ঘরানায় মালাই লস্যি বা রায়তা তৈরি করুন, দই ছাড়া আপনার গ্রীষ্মকাল অচল! প্রোটিন ও প্রোবায়োটিকের উৎস হিসেবেও দই আদর্শ, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তা অবশ্যই রাখবেন।
তরমুজ, ফুটি, শসা: তরমুজে লাইকোপিন থাকে, ফুটিতে আছে ক্যারোটিন, শসা অ্যালকালাইন বা ক্ষারীয় হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে রাখে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স। এছাড়া এই তিনটি ফল থেকেই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ জল। বাদ দেবেন না তাজা আপেল, আঙুর, বেদানা। গরমকালে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় শরীর থেকে, সেই ঘাটতি পূর্ণ করার জন্য এই ধরনের ফলগুলি আদর্শ।

পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা হজমের পক্ষে সহায়ক, তা শরীরের তাপমাত্রা কমায় এবং আপনাকে চনমনে করে তোলে। পুদিনা আপনার শরবতে যোগ করুন, চাটনি তৈরি করে রাখতে পারেন, রায়তায় দিলেও খেতে দারুণ ভালো লাগে।

লাউ, কুমড়ো, করলা: লাউ আপনি রান্না করে খেতে পারেন, জ্যুসও খাওয়া যায়। তা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। জানেন কি, 100 গ্রাম লাউয়ের 96 শতাংশই জল, আর তা থেকে আপনার শরীর বড়োজোর 12-13 ক্যালোরি পায়! কুমড়ো দিয়ে আপনি ইত্যালিয়ান স্যুপও বানাতে পারেন, ছক্কাও চমৎকার খেতে হয়। করলায় আছে ভিটামিন এ, কে, সি, বি টু বি থ্রি, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। প্রতিটি সবজিই শরীরকে প্রয়োজনীয় জল জোগাবে, রান্না করতেও খুব বেশি তেল-মশলার প্রয়োজন হয় না। খেতে পারেন পটল, ঝিঙে, স্কোয়াশও।

পেঁয়াজ: শুনতে একটু আশ্চর্য লাগলেও এ কথা ঠিক যে পেঁয়াজ আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং গ্রীষ্মকালের খাদ্যতালিকা থেকে তা বাদ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। যাঁরা কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধ অপছন্দ করেন, তাঁরা আগে থেকেই নুন-লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিন, পেঁয়াজের ঝাঁজ অনেকটাই কমে যাবে। রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন স্বচ্ছন্দে।