কি এই ইউরিক অ্যাসিড? যা কে নিয়ন্ত্রণ না করলে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও!
TODAYS বাংলা,পূর্বা রায়: ইউরিক অ্যাসিড সকলের শরীরেই তৈরি হয়। একজন সুস্থ মানুষের কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বার করে দেয়। কিন্তু যখনই ইউরিক এসিড বেশি পরিমাণে তৈরি হয় বা কিডনি বার করতে পারে না তখনই সৃষ্টি হয় জটিলতা।

এই অ্যাসিড তখন শরীরে জমে ক্রিস্টাল আকারে এবং অস্থিসন্ধির বা বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলিতে প্রচন্ড ব্যথা বেদনা বাড়িয়ে দেয়, এমন কি জায়গাটা গরমও লাল হয়ে যায়।
শরীরে পিউরিন নামক একটি যৌগের পরিমাণ বাড়লে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, আর পিউরিন পাওয়া যায় বিভিন্ন দেহের কোষে এবং কলায়। শরীরে পিউরিন বাড়তে শুরু করে তখনই কিডনি আরে যৌগটি কে বের করে দিতে পারে না ফলে এটি ক্রিস্টাল আকারে জমতে থাকে এবং মানব শরীরে তৈরি হয় নানান সমস্যা।

ইউরিক এসিড বাড়ার কারণ
অত্যাধিক রেড মিট খওয়া, ধুমপান মদ্যপান করা, অনিয়মিত অলস ভাবে জীবন যাপন করা, অনেক বেশি রাত পর্যন্ত জাগা, ব্যায়াম না করা ইত্যাদির কারনে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন থাকা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, ডায়াবেটিক থাকার কারণে শরীরে বিপাকক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

তাই ওজন কমানোর দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। ঘনঘন রেডমিট, চা-কফি খওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে শরীরে বেশি পরিমাণে তৈরি হয় পিউরিন, আর পিউরিন বাড়লেই ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে যার কারণে শরীরে তৈরি হবে নানান রকম ব্যথা।

ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে
নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি করুন। যাদের বাতের ব্যথা শরীরে জ্বালা যন্ত্রণা ও ব্যথা প্রবণতা রয়েছে তারা নিয়মিত ইউরিক অ্যাসিড সহ আরো কিছু রক্তের উপাদান পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শে থাকুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা বেশি পরিমাণে ধূমপান করে তাদের শরীরে তৈরি হয় বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড। সুতরাং ধূমপান ছেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন। বেশি পরিমাণে জল পান করুন।
এমনকি যাদের ইউরিক এসিডের সমস্যা আছে তারা দই খাবেন না কারণ ইউরিক এসিডের পরিমাণ কে বাড়িয়ে দিতে পারে দই। প্রতিদিন 30 মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করতে হবে। পরিমিত আহার নিয়মিত ব্যায়াম এবং লাভ স্টরি পারবে আপনাকে সুস্থ রাখতে।