May 18, 2024 | Saturday | 7:17 PM

ডাব চিংড়ি মানেই মাদকতা

0

TODAYS বাংলা : বাঙালি মানেই খাদ‍্যরসিক এতে কোনো সন্দেহ নেই। কথায় আছে বাঙালি মানেই মাছ ভাত -এর প্রতি ভালোবাসা। আর সেটা যদি গরম ভাতের সাথে ডাব চিংড়ি হয় তাহলে তো কোনো কথা হবেনা।

ভাবুন তো রবিবারের দুপুর আর দুপুরের খাওয়ার গরম গরম ভাত হঙ্গে ডাব চিংড়ি। কী শুনেই জিভে জল এসে গেল ! তাহলে আর দেরি কেন জেনে নিন সহজ উপায়ে ডাব চিংড়ির পদ্ধতি। চিংড়ি-প্রেমীদের অন্যতম পছন্দের ডিশ নিসন্দেহে ডাব চিংড়ি।

তবে কেউ কেউ ভয় পান বাড়িতে বানাতে। ভাবেন, রেস্তোরাঁর সেই স্বাদ বুঝি আসবে না নিজের হাতে! কিন্তু, সেটা এক্কেবারেই আপনার ভুল ধারণা। বরং, সঠিকভাবে বানাতে পারলে আপনার বানানো ডাব চিংড়ির কাছে ফেল করে যাবে বড় বড় রেস্তোরাঁও। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন ডাব চিংড়ি

উপকরন : বড় আকারের চিংড়ি মাছ (৫-৭টি), পেঁয়াজ বাটা (১/২ কাপ), কচি ডাবের শাঁস বের করে ডাবের জল দিয়ে বেটে নিন (১টি), সরষের তেল (২ টেবিল চামচ), আদা-রসুনবাটা (১ টেবিলচামচ), গরমমশলার গুঁড়ো (১ চা চামচ), চিনি (1 চা চামচ), নুন (স্বাদ অনুযায়ী), নারকেলের দুধ (১/২ কাপ), উষ্ণ জল (১/২ কাপ), ভালো ঘি (২ টেবিল চামচ)

পদ্ধতি: যেহেতু এই রান্নায় ডাবের একটি মুখ্য ভূমিকা আছে তাই ডাবটিকে সঠিকভাবে কেটে নেওয়া খুব জরুরি। মাথার দিকটা কেটে নিন। এবার একটা বড় গোল গর্ত করে শাস ও জল বের করে নিন। নীচ দিকটা কেটে নিলে গোটা ডাবের ভিতর বসিয়েই চিংড়ি পরিবেশন করতে পারবেন।

এবার গ্যাসে কড়া চাপান। গরম হয়ে এলে তেল দিন ও তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিন। মিনিট দু’য়েক পেঁয়াজটা ভালো করে ভেজে নিন।এবার কড়াইতে চিংড়ি মাছ ছাড়ুন। ভালো করে কষাতে হবে মশলার সঙ্গে। মাছের গায়ে গোলাপি রং ধরলে আদা-রসুন বাটা দিন। সঙ্গে গরমমশলা, নুন-চিনি দিয়ে কষাতে থাকুন। সমস্ত মশলা কষে গেলে নারকেলের দুধ আর গরম জলটা ঢেলে দিন রান্নায়। ভালো করে কষে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন আরও ৫-৭ মিনিট। জল টেনে এলে বেটে রাখা নারকেলের শাস দিন।

সবশেষে ঘি ও গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। সাবধানে নারকেলের খোলের মধ্যে প্রথমে কিছুটা মশলা ঢালুন। তারপর ওপরে চিংড়ি মাছ দিয়ে আবার কিছুটা মশলা দিন। ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Advertise

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed